মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স জয় করলেন ত্রিপুরার স্নিগ্ধা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ত্রিপুরা প্রতিনিধি

বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও একরাশ স্বপ্ন ছিল তার চোখেমুখে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে পারবেন কিনা তা যেন আরও বেশি করে ভাবিয়ে তুলতো তাকে। অবশেষে সেই স্বপ্নই পূরণ করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার স্নিগ্ধা সেন। হলেন ‘মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স-২০২৩’।

ফ্যাশন এবং মডেলিংয়ের প্রতি তার নেশাটা শৈশব থেকেই। সে অনুযায়ী স্বপ্ন দেখতেন অনেক আগে থেকেই। আক্ষরিক অর্থে নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে কিনা এ নিয়েই ছিল যত সংশয়। এক সময় বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেও হলেন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষিকা। সেই থেকে স্বাবলম্বী স্নিগ্ধার মনে আরও বেশি করে বাসা বাঁধে ফ্যাশন আর মডেলিংয়ের নেশা।

আরও পড়ুন: নতুন মিস ইউনিভার্স কর্ণাটকের দিভিতা

অদম্য ইচ্ছা শক্তি এবং জেদের কারণে একসময় ২০১৭ সালে মিস ত্রিপুরা হিসেবেও জয়ী হন তিনি। এরপর ২০১৮ সালে লাভ করেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিরোপাও। সেই থেকেই প্রচেষ্টা এবং আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলেন স্নিগ্ধা। প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন জাতীয় আসরের জন্য। আর সেই আত্মবিশ্বাসই সম্প্রতি তাকে মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের শিরোপা এনে দেয়।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাব্রিয়েল মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত

রাজ্যে ফিরে স্নিগ্ধা জানান, প্রথমবারের মতোই রাজ্য থেকে কোনো বাংলা ভাষাভাষী নারী এ ধরনের আসরে অংশ নেন। সেই অনুযায়ী এই আসর থেকে সেরার শিরোপাটি ছিনিয়ে আনতে পেরে খুশি তিনি নিজেও। স্নিগ্ধা বলেন, তাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হবে আগামী প্রজন্ম।

স্নিগ্ধা আরও বলেন, গোটা প্রক্রিয়া মোটেই সহজসাধ্য ছিল না। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর জাতীয় মানের এই আসরের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষমেষ অন্তত ১৫টি রাজ্য মিলে ৪০ জনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করেন স্নিগ্ধা। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫ এবং মূল পর্বে ১৫ জন অংশ নেয়।

আরও পড়ুন: যেসব সুবিধা পাবেন মিস ইউনিভার্স হারনাজ

মিসেস ইন্ডিয়া ইউনিভার্সের কথা অনুযায়ী শুধুমাত্র সৌন্দর্য দেখে কিংবা মডেল হলেই তা হওয়া যায় না। মূল পর্বের আগে যেমন ধাপে ধাপে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে তেমনি অংশ নিতে হয়েছে ওয়ান টু ওয়ান ইন্টারেকশনেও। সব মিলিয়ে মূল পর্বে ছিল মোট তিনটি ধাপ। এর প্রতিটিতেই দক্ষতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হতে হয়। তবেই না শিরোপা অর্জন করা সম্ভব।

ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তার বার্তা, ইচ্ছা থাকলে যে উপায় হয় এটা সত্যি। এ রাজ্যের অনেক তরুণ-তরুণীরই প্রতিভা রয়েছে অথচ সঠিক দিশার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে মাঝ পথে। তাদের সকলের উদ্দেশ্যেই তিনি বলেন, লক্ষ্যে অবিচল থেকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।

এমএমএফ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।