কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আতঙ্কে পর্যটকরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ০৯ মে ২০২৫
পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মুজাফফারাবাদ থেকে সরে যেতে শুরু করেছেন পর্যটকরা/ ছবি: এএফপি

কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকরা এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পাহাড়ঘেরা মনোরম হোটেল কক্ষগুলো, যা আগে ‘প্রিমিয়াম রুম’ হিসেবে বিবেচিত হতো, এখন সেগুলোকে মনে হচ্ছে অত্যন্ত উন্মুক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ। পর্যটকরা একে একে পাহাড়মুখি কক্ষ ত্যাগ করছেন।

পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের প্রশাসনিক কেন্দ্র মুজাফফারাবাদের এক হোটেলের কর্মী জানান, এখন আর কোনো অতিথি নেই। যারা আছেন, তাদেরও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি দলকেও নিরাপত্তার কারণে হোটেলের নিচতলায় স্থানান্তর করা হয়। ওই কর্মী আরও বলেন, আজ রাতে কেউ নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে মুখ করে ঘুমাতে চাইবে না। কারণ কেউ জানে না পরক্ষণেই কী হতে পারে।

গত দুই রাত ধরে মুজাফফারাবাদসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ছিল বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। মুজাফফারাবাদের এক হোটেলের কর্মী বলেন, আমরা জানালা দিয়ে দেখছিলাম। কামানের গোলার বিস্ফোরণে মাঝেমধ্যেই আকাশ আলোকিত হয়ে উঠছিল। রাতভর নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বেশ কয়েকটি সেক্টরে বোমবর্ষণ অব্যাহত ছিল। 

বুধবার (৭ মে) ভোরে ভারত পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের যে এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালায় বলে জানিয়েছে, তার মধ্যে মুজাফফারাবাদ ছিল অন্যতম। এরপরই পুরো শহরকে বিদ্যুৎবিহীন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা স্থানীয়রা কোনো প্রশ্ন ছাড়াই মেনে নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশ টানা দ্বিতীয় রাতের মতো বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল। ঘরবাড়ি, হোটেল কিংবা দোকানের আলো নিভিয়ে রাখা হয়েছিল। সাধারণ সময়ে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যবসায়িদের শোরগোলে ব্যস্ত থাকা সড়কগুলো ছিল ভয়ংকর নিরব।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।