গাজায় মাত্র ৩৬ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫
গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক/ ছবি: এএফপি

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। অথচ সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাক ত্রাণের প্রয়োজন। গাজায় যে পরিমাণ ত্রাণ সরবরাহ করা প্রয়োজন তার চেয়ে খুব সামান্যই সেখানে প্রবেশ করছে। খবর আল জাজিরার।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, ত্রাণ বিতরণ করার আগেই বেশিরভাগ ত্রাণবাহী ট্রাকের জিনিসপত্র লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে অবরোধ জারি করে রাখায় খাবার-পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনাহার এবং অপুষ্টিতে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা প্রাণ হারাচ্ছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা লজ্জাজনক যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার কারণে গাজার শিশুদের দুর্ভিক্ষ গ্রাস করছে। অবিলম্বে ক্রসিংগুলো খুলে দেওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে সাহায্য এবং শিশুদের ফর্মুলা খাবার প্রবেশের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে গাজা উপত্যকার বেশ কিছু হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, শনিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই ত্রাণপ্রার্থী।

নিহতের মধ্যে ৩৮ জন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল-সমর্থিত বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন। সংস্থাটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ নিতে যাওয়া লোকজনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।

গত সপ্তাহে ইসরায়েল ঘোষণা করেছিল যে, তারা কিছু এলাকায় যুদ্ধে ‌‘কৌশলগত বিরতি’ বাস্তবায়ন শুরু করবে যেন ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো যায়। কিন্তু তারা হামলা স্থগিত করার কথা বললেও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন থেমে নেই।

মানবাধিকার অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত ত্রাণ নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে কমপক্ষে এক হাজার ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।