এবার এস্তোনিয়ার আকাশে অনুপ্রবেশ করলো রুশ যুদ্ধবিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গুস ছাহকনা/ছবি: এএফপি

এবার এস্তোনিয়ার আকাশে অনুপ্রবেশ করলো রুশ যুদ্ধবিমান। শুক্রবার এই ঘটনার পর ন্যাটোর অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে জরুরি পরামর্শের জন্য বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে ‘বেপরোয়া অনধিকার প্রবেশ’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনটি রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান অনুমতি ছাড়া এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে এবং মোট ১২ মিনিট সেখানে অবস্থান করেছে।

ন্যাটো মুখপাত্র জানিয়েছেন, সামরিক জোট ‘তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দিয়েছে এবং রুশ বিমানগুলোকে আটকেছে’। তিনি একে রাশিয়ার আরেকটি বেপরোয়া পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন এবং ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া সক্ষমতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন।

ন্যাটোর পূর্ব সীমান্ত রক্ষায় ইতালি, ফিনল্যান্ড ও সুইডেন যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। তবে রাশিয়া আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো ‘নির্ধারিত নিয়মিত ফ্লাইটে’ ছিল, আন্তর্জাতিক আকাশসীমার নিয়ম মেনেই উড্ডয়ন করেছে এবং কোনো দেশের সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি। তাদের দাবি, বিমানগুলো এস্তোনিয়ার ভাইনদলু দ্বীপ থেকে অন্তত তিন কিলোমিটার দূরে নিরপেক্ষ বাল্টিক জলসীমার ওপর দিয়ে উড়ে গেছে।

এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গুস ছাহকনা এই ঘটনাকে ‘স্পষ্ট উসকানি’ হিসেবে বর্ণনা করে ন্যাটোকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ১২ মিনিটের এই লঙ্ঘন গুরুতর ঘটনা। এতে রাজনৈতিক ও বাস্তবিক উভয় ধরনের শক্ত প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।

২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। গত সপ্তাহে রোমানিয়া এবং ডেনমার্ক রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। এরপর থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। বেশিরভাগ দেশই নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আরও বেশি কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করছে।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।