বিটিভির ৪০ সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিটিভির ৪০ জেলা প্রতিনিধির চাকরির বহিষ্কারাদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট

বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) ৪০ জেলা প্রতিনিধিকে চাকরি থেকে কেন বহিষ্কার করা হয়েছে- তার কারণ দর্শানোর জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে আবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ টেলিভিশনকে (বিটিভি) তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অন্য এক জেলা প্রতিনিধির চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তার বকেয়া বেতন-ভাতাসহ পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল আক্তার হোসেন আবদুল ওয়াহাব রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে পৃথক তিনটি রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ ও ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। অন্যদিকে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী, ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল আক্তার হোসেন ও মো. আবদুল ওয়াহাব।

‎আইনজীবী ও বিটিভির জেলা প্রতিনিধিদের থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সংবাদ বিভাগের ৫৭ জেলা প্রতিনিধিকে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই বরখাস্ত বা কাজে অব্যাহতি দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন

অব্যাহতির চিঠি ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর দেওয়া হয়। অব্যাহতি দিয়ে পরদিনই নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানান তারা। বরখাস্তের এই তালিকায় ১৯৮৫ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে কাজে নিয়োজিত সাংবাদিকদের অনেকেই রয়েছেন।

৫৭ জন জেলা প্রতিনিধি ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর তাদের চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে আবেদন করেন। তবে কোনো ধরনের সাড়া না পেয়ে তাদের পক্ষ থেকে একই বছরের ১৩ নভেম্বর পিরোজপুর ও গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

তাদের ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর চাকরি থেকে অব্যাহতির আদেশ ৬ মাসের জন্যে স্থগিত করেন হাইকোর্ট। স্থগিতাদেশের সঙ্গে সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত।

এরপর ওই রিট আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করলে ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপল বিভাগ এই অব্যাহতি আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেন। পাশাপাশি হাইকোর্টে রুল শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হয়। এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।