২ বছর ৯ মাস পর স্বীকার করলেন তিনিই শিশুটির বাবা
সন্তান জন্মের দুই বছর নয় মাস পর সাজাপ্রাপ্ত বাবা হাইকোর্টে হাজির হয়ে স্বীকার করলেন সন্তানটি তার। বুধবার হাইকোর্টে তিনি স্বীকারোক্তি দেন অবৈধ সম্পর্কে জন্ম নেয়া সন্তানের বাবা তিনিই। এই বাবার নাম রানা।
এর আগ পর্যন্ত তিনি তার সন্তানের স্বীকৃতি দিচ্ছিলেন না। নিরূপায় হয়ে সন্তানের মা আইনের আশ্রয় নেন। কিশোরগঞ্জের জেলা জজ আদালত নারী নির্যাতন ও অপহরণের মামলা করেন। এই মামলায় সাজা পান সন্তানের বাবা।
অপহরণের মামলায় কিশোরগঞ্জের জেলা জজ আদালত রানাকে ১৪ বছরের সাজা এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অন্যদিকে নারী-নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ড দেয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই দণ্ড নিয়ে জামিন নিতে বুধবার হাইকোর্টে এসেছিলেন রানা।
হাইকোর্টে এক শুনানিতে আদালতের প্রশ্নের জবাবে রানা স্বীকার করেন তিনিই শিশুটির বাবা। মায়ের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী মোসা. হোসনে আরা দিবা। এরপর আদেশের জন্য আগামী ১০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি রানা ও ঝুমার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ২০১৪ সালে। তাদের অবৈধ সম্পর্কের ফলে জন্ম হয় শিশুটির। জন্ম হওয়া শিশুর স্বীকৃতি না পাওয়াই ভিকটিম আদালতের দারস্থ হন। মামলা করা হয়, অপহরণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে। মামলায় উল্লেখ করা হয়- ঝুমা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাকে অপহরণ করেন রানা। এরপর অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন ঝুমা সঙ্গে।
এফএইচ/জেডএ/বিএ