আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, ভুল বুঝবেন না: সিইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১০ পিএম, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির সংলাপ

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশে প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নেওয়া এবং সরাসরি সম্প্রচার ও স্বল্প সময় অবস্থানে কড়াকড়ি আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সঙ্গে সমন্বয় রেখে সাংবাদিকদের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্যও এমন বিধান রাখা হয়েছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে একথা বলেন তিনি।

ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশ অবাধ করার পাশাপাশি সরাসরি সম্প্রচার ও ১০ মিনিটের বেশি অবস্থানের সুযোগ রেখে বিদ্যমান সাংবাদিক নীতিমালা সংশোধনের দাবি তোলে টিভি মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।

সিইসি বলেন, ‘আপনারা আমাদের ভুল বুঝবেন না। এটা শুধু আরপিও লিগ্যাল রিকোয়ারমেন্ট। এটা শুধু ইনফর্ম করার ব্যাপার। প্র্যাকটিক্যাল কারণে এটা করা হয়েছে। আইনটাকে অনার করার জন্য করা হয়েছে। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। …গণমাধ্যম আমাদের সোর্স অব ইনফরমেশন।’

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তিন ঘণ্টার মতো মতবিনিময়ন করেন গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

গণমাধ্যমকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না, আস্থা সংকট দূর করুন

ডিবিসি টেলিভিশনের সম্পাদক লোটন একরাম বলেন, ভোটের সময় গণমাধ্যমের জন্য প্রণীত নীতিমালা সংশোধেন করতে হবে। অনিয়ম হলেও কেন্দ্রের ভেতরে সরাসরি সম্প্রচারে মানা, ১০ মিনিটের অবস্থান করার বিষয়টি স্বচ্ছ নির্বাচনে বাধা হবে।

বিদ্যমান আইন পরিস্থিতিতে সবার জন্য সুযোগ তৈরি করা ইসির জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি।

‘সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ ভাবা হলে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে সহায়তার বিকল্প নেই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অনিয়মের বিষয়গুলো আমলে না নিলে নির্বাচন অতীতের মতো প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

তিনি জানান, প্রশাসনসহ সর্বস্তরে দায়সারা কাজ হচ্ছে। লেভেল প্লেয়িং তৈরি করতে তফসিল ঘোষণার আগে এখন থেকেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী ব্যয় তদারকি, হলফনামার সঠিকতা যাচাইয়ে তৎপর থাকতে হবে ইসিকে। সামাজিক মাধ্যমে অপতথ্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এটিএন নিউজের শহিদুল আজম জানান, উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে ভোটারসহ জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। সবার জন্য সমান করতে আচরণবিধি প্রতিপালনে ইসির ভূমিকা দৃশ্যমান হতে হবে।

‘ফলাফলের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিবন্ধিত গণমাধ্যমকে অনেক ধরনের নিয়মনীতি মানতে হয়। অনিবন্ধিত গণমাধ্যম, ফেসবুক, ইউটিউব আটকানো যাবে না। অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে, বিলম্বিত তথ্য কাম্য নয়। …জনসম্পৃক্ততা ও উৎসবমুখর নির্বাচন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজকর্মও কমে যায়’ বলেন তিনি।

স্টার নিউজের হেড অব নিউজ ওয়ালিউর রহমান মিরাজ বলেন, ২০০৮ সালের পর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও ইসির আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। ইসির স্বাধীনতা কতটুকু ব্যবহার করতে পারছেন সেটা দেখার বিষয়।

বর্তমান ইসির এখন পর্যন্ত আন-টেস্টেড। ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ভালো নির্বাচন করা। ইসির ওপর আস্থা কতটুকু আছে তা প্রশ্ন রয়ে গেছে। এ ইসি এমন বড় নির্বাচন করার জন্য কতটুকু প্রস্তুত আমরা জানি না। বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা ফেরানোটা এখন ইসির দায়িত্ব।

তিনি বলেন, প্রশাসন, পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে হবে। এখন ইসির দায়িত্ব মানুষের কনফিডেন্স ফিরিয়ে আনা।

ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর পরামর্শ একাত্তর টিভির সিইও শফিক আহমেদের।

ইসির নিজস্ব নির্বাচন কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ‘ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার’ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি। সিইসি ও ইসির মর্যাদা মন্ত্রীর ওপরে রাখা, মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধে উদ্যোগ চান এ সাংবাদিক।

মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য রোধে সহায়তার পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান শফিক আহমেদ।

যমুনা টিভির তৌহিদুল ইসলাম জানান, ভোটকেন্দ্রে গণমাধ্যমের প্রবেশাধিকার অবারিত করতে হবে। কমিশন সব কাজে স্বচ্ছ থাকতে চাই মুখে বললেও মাঠে তা দৃশ্যমান করতে হবে। ভোটে অনিয়মে বাধা দিলে নির্বাচন কর্মকর্তারা হেনস্তার শিকার হবে না এটা নিশ্চিত করতে হবে।

‘খেলোয়াড়রা ফাউল করবেই। খেলার সৌন্দর্য মোটা দাগের কথা। আয়োজকের অংশ হিসেবে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। কারা খেলছে যায় আসে না, আপনার রোবট হয়ে যান পক্ষপাতহীনভাবে; আপনারা ফেয়ার থাকবেন। ইসি যতই স্বচ্ছতার কথা বলুক, মাঠ কন্ট্রোল করা খুবই কঠিন। আমলাতন্ত্র আস্থাহীনতায় চলে গেছে, এ বাস্তবতায় চলতে হবে’ বলেন তিনি।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির মোস্তফা আকমল বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইসিকে গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় ও ভোট কেন্দ্র থেকে যত দ্রুত সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে তত দ্রুত গুজব, অপতথ্য রোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

গ্লোবাল টিভির ফেরদৌস মামুন জানান, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ওপর এখন পর্যন্ত পুরোপুরি আস্থা আসেনি। আগামী নির্বাচন অনেক বেশি কঠিন হবে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ইসির পদক্ষেপ চান তিনি।

‘ডিজিটাল মিডিয়া এখন গুজবের আখড়া হয়ে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণে ইসিকে একটা কাঠামো তৈরি করতে হবে। ভোট গণনা দেরি হলে গুজব বাড়ে, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণনা শেষ করতে হবে’ বলেন এ সাংবাদিক।

চ্যানেল আইয়ের জাহিদ নেওয়াজ খান বলেন, পোস্টাল ব্যালটে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট নেওয়ার ভালো সক্ষমতা কি না এবং দূতাবাসের আন্তরিকতা রয়েছে কি না সংশয় রয়েছে। লেভেল প্লেয়িং তৈরিতে ইসিকে সক্রিয় থাকতে হবে।

এবারের নির্বাচনে এআই এর অপব্যবহার রোধ চ্যালেঞ্জ হবে। সামাজিক মাধ্যম তো বন্ধ করা যাবে না; তা মোকাবিলায় তৎপর থাকতে হবে।

গ্রিন টিভির মাহমুদ হাসান বলেন, আইনশৃঙ্খলার যে নাজুক পরিস্থিতি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হলে ইসি কীভাবে রোধ করবে তা ভেবে দেখতে হবে। সাবেক সিইসিকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের যারা অনিয়মে সম্পৃক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সমতল মাঠ তৈরি কীভাবে সম্ভব? আমরা দেখছি না- অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, কালোটাকা বন্ধ করার উদ্যোগ দেখছি না।…অতীতে অনিয়মে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ইসিকে আশ্বস্ত করতে হবে জনগণকে।

জিটিভির গাউছুল আজম বিপু বলেন, বর্তমান ইসি কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন সবার প্রশ্ন নির্বাচন হবে তো? সাধারণ মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

দীপ্ত টিভির এসএম আকাশ বলেন, ইসির আন্তরিকতা নিয়ে সন্দেহ নেই। সেই সঙ্গে অংশীজনদের সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে। আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হলে সাংবাদিক নীতিমালা গণমাধ্যম বান্ধব করতে হবে। গুজব রোধে ইসির ফ্যাক্ট চেকিং টিম করতে হবে।

সময় টিভির জহুরুল ইসলাম জনি বলেন, দেশের মানুষ উৎসবমুখর ভোটের অপেক্ষায় এবং সুষ্ঠু ভোট আয়োজনই ইসির বড় চ্যালেঞ্জ। সে ক্ষেত্রে সবাই যেন সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা পালনে ইসি যেন কঠোর ভূমিকা পালন করে।

নিউজ টোয়েন্টিফোরের শরিফুল ইসলাম খান বলেন, আইনের মধ্য থেকে ইসিকে কাজ করতে হবে এবং জন আস্থা তৈরি করতে হবে। দায় আর দায়িত্ব দুটোই পালন করতে হবে।

‘ইসির জন্য বড় সংকট সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করা। ভোট উৎসব থেকে হানাহানিতে পরিণত হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য এখন আস্থা অর্জনের ক্ষেত্রে ভালো নির্বাচনী পরিবেশের বিকল্প নেই’ বলেন তিনি।

মাছরাঙা টিভির নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, অনিয়ম হলে কেন্দ্র থেকে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ইসির রয়েছে। অনেকে চাইবে পেশি শক্তি ব্যবহারের শঙ্কা রয়েছে। আগামী নির্বাচনে আশঙ্কার বিষয় রয়েছে-সাংবাদিকদের ঠেকাতে অপতৎপরতা থাকতে পারে; তা রোধে ইসিকে সহযোগিতা করতে হবে।

আস্থা সংকট কাটাতে সবাইকে নিয়ে তৎপর ইসি

মিথ্যা তথ্য ও অপতথ্য রোধে ইসির সেন্ট্রাল কো-অর্ডিনেশন সেল এবং বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সেল করার পরামর্শ দেন আলোচকরা।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, অপতথ্য নিয়ে সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার ও এআই অপব্যবহার এখন বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবার এখন কমন কনসার্ন।

‘আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জটা বুঝতে পারছি। অপতথ্য রোধে মূলধারার গণমাধ্যমই বড় ধরনের সহায়তা করতে হবে।…বাস্তবতা হচ্ছে সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ। আমরা লিমিট করবো না; এতে ভালো ইনফরমেশনও বন্ধ হবে। সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে-এ ভাবনা মনে হয় না বাস্তব। কিছুটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে।’

অপতথ্য রোধে কোনোভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা নয়, বরং সঠিক তথ্যের অবাধ সরবরাহ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল বলেন, ইসি কোনো লিমিট করবো না। আচরণবিধিতে সোশাল মিডিয়া কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। আইসিটি অ্যাক্টসহ প্রচলিত আইন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা দরকার হবে। নভেম্বর থেকে সচেতনতা তৈরি ও কাউন্টার মেকানিজম তৈরি করতে পারি। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয়ভাবে কিছু কমিটি করা হবে।

নির্বাচনী সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেছে। নির্বাচন ভালো করতে হবে সবাইকে নিয়ে। আমরা সবাই ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছি। এ আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠাই বড় চ্যালেঞ্জ। এখন কালেকটিভলি কাজ করলে সম্ভব বলেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালট ভোটিং পদ্ধতি তুলে ধরেন এ নির্বাচন কমিশনার।

এবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকারের বিষয়ে প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, বাংলাদেশে প্রতিটি পোস্টাল ব্যালটের ভোটে ব্যয় ৭০০ টাকা। পোস্টাল ব্যালটে মাত্র ২.৭% রেজিস্ট্রেশন করেন। সবশেষ লোকসভা নির্বাচনে ১ লাখ ১৯ হাজার রেজিস্ট্রেশন করে, ভোট দিয়েছে ২৯০০ জন।

প্রত্যাশা অনেক। আমাদের ধারণা ভোট অনেক আসবে, কত হবে জানি না। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ ব্যালট পেপার ছাপিয়ে রাখব। রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা দেখে পরবর্তী ধাপে যাবো।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, এআই অপব্যবহার রোধে আরপিও এবং আচরণবিধিতে সাইবার সুরক্ষা আইনের বিষয়টি রেখে শাস্তি রাখা হয়েছে। এখন জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে, তাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা লাগবে।

গণমাধ্যমের সহায়তা চান সিইসি

সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন টিভি সমাপনী ভাষণে গণমাধ্যমের সহায়তা চেয়ে বলেন, যা আপনারা পরামর্শ দেবেন, আমরা সত্যিকার পার্টনার হিসেবে পেতে চাই। …মিডিয়া ছাড়া আর কোনো গতি দেখি না। গণমাধ্যমের সহযোগিতা লাগবে, আপনাদের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। বাধ্য হয়ে গণমাধ্যমকে পার্টনার করতে হবে, আপনাদের সহযোগিতা চাই।

এমওএস/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।