মশক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ: ডিএনসিসি
এডিস মশার বিস্তার রোধে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই সহযোগিতা চাওয়া হয়।
ডিএনসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এডিস মশা ডেঙ্গু রোগের বাহক। এডিস মশার বিস্তার রোধে আপনার বাড়ির ভেতর এবং চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুলের টব, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদিসহ পরিত্যক্ত যেকোনো পাত্রে পানি জমে থাকলে প্রতি তিনদিনের মধ্যে অবশ্যই পরিষ্কার করুন। বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, বারান্দা, গ্যারেজের কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না। জমে থাকা পানি নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় ও পরিত্যক্ত পাত্র সরিয়ে ফেলতে হবে। বর্ষাকালে ছাদ বাগানের কোনো টবে যেন পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করুন, বাড়ির বেসমেন্টে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। নির্মাণাধীন বাড়ি এডিস মশার অন্যতম বংশ বিস্তারের স্থান, এ ব্যাপারে নির্মাণ শ্রমিকদের সচেতন ও নির্দেশনা দিতে হবে।’
পানির মিটারে জমে থাকা পানিতে মাসে একবার ডিএনসিসি কর্তৃক বিনামূল্যে সরবরাহ করা নোভালিউরোন (মসকিউটন) ট্যাবলেট প্রয়োগের অনুরোধ জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরীরের বেশির ভাগ অংশ এবং হাত-পা ঢাকা থাকে এমন কাপড় পরিধান করতে হবে। দিনে এবং রাতে বিশ্রাম অথবা ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত। সপ্তাহের ছুটির দিনে নিয়ম করে ঘরের আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখা জরুরি। অন্যথায় বাড়ি, কারখানা, অফিসের আঙ্গিনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গু মৌসুমে জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করুন ও চিকিৎসা গ্রহণ করুন। গর্ভবতী মা, নবজাতক, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। সেখানে সেবা নিতে পারবেন নগরবাসী। সব শেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মশক নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন, জনগণের অংশগ্রহণ; মশার উৎস ধ্বংস করি, ডেঙ্গুমুক্ত দেশ গড়ি।’
এমএমএ/এমএমকে