বন্ধ রেস্তোরাঁয় অবৈধ মাস্ক-স্যানিটাইজার : জরিমানা ১৫ লাখ
ড্রাগ লাইসেন্সের অনুমোদন নেই, এনওসি বা কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেটও নেই। করোনাকালে রেস্তোরাঁর ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় হঠাৎ করে মাস্ক, স্যানিটাইজার, কিট মজুত ও বিক্রি শুরু করেছে রাজধানীর পল্টনে বৈশাখী সার্জিক্যাল নামে এক প্রতিষ্ঠান।
বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুরে সেখানে উপস্থিত হয় র্যাব-৩ এর একটি দল। এ সময় অবৈধ এন-৯৫ মাস্ক, ভুয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার, অনুমোদনহীন ডেঙ্গু টেস্টিং কিটসহ মেডিকেল সরঞ্জাম বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, করোনায় ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় বৈশাখী রেস্তোরাঁর নাম রাতারাতি হয়ে যায় বৈশাখী সার্জিক্যাল। করোনা চলাকালে রেস্তোরাঁ ব্যবসা না থাকায় ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই সেখানে সাময়িক সময়ের জন্য সার্জিক্যাল স্টোর খুলে বসে।
পলাশ বসু বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া এ ধরনের ব্যবসা করা যায় না, তাদের সে ধরনের অনুমোদন নেই, এনওসি বা কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট নেই। আচরণ বিধি কী হবে তা নেই, তারা যে ব্যবসা করছে তা অত্যন্ত গোপনে, সরকার সংশ্লিষ্টরা জানেন না।
আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ এন-৯৫ মাস্ক, ভুয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার, অনুমোদনহীন ডেঙ্গু টেস্টিং কিটসহ মেডিকেল সরঞ্জাম পাই। এ কারণে বৈশাখী সার্জিক্যালের মালিক সাইফুলকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অভিযানে আমির হোসেন নামে এক দালালকেও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
জেইউ/এএইচ/পিআর