মগবাজারের বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত চলন্ত ৩ বাস, বেশিরভাগ যাত্রী আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫১ পিএম, ২৭ জুন ২০২১

রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট সংলগ্ন আড়ংয়ের শো-রুমের বিপরীত পাশের ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এরই মধ্যে সাতজন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, বিস্ফোরণে বহুলোক হতাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিস্ফোরণের সময় রাস্তায় চলন্ত তিনটি বাসের কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। গাজীপুর থেকে সদরঘাটে যাতায়াতকারী আজমেরী পরিবহন, মিরপুর থেকে সদরঘাটে চলাচল করা আল মক্কা পরিবহন ও সাভার থেকে আসা লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাস রয়েছে।

রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস এলাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর সেখানে আগুনের স্পার্ক দেখা যায়। কিন্তু ভবনের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটলেও ওই সময় সড়কে চলন্ত যানবাহন ছিল। সেই সময় ভবনের সামনে থাকা তিনটি বাসের জানালার কাচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। ওই সময় পাশে থাকা যাত্রীরা আহত হন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাদের দাবি, সেখানে তিনটি বাসে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিল, যাদের বেশিরভাগই আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন সাংবাদিকদের জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই ভবনের নিচতলার মেঝের পিলারসহ কিছু অংশ উড়ে গেছে। ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটে ৯০ জন লোক কাজ করছে বলে জানান তিনি।

সরেজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিস্ফোরণে শতাধিক লোক আহত হয়েছে। তার মধ্যে রাস্তায় যাত্রীবাহী তিনটি বাসেই ছিল অর্ধশতাধিক যাত্রী, যাদের বেশিরভাগই দুর্ঘটনায় আহত হন।

বিস্ফোরণের সময় সড়কে বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলন্ত অবস্থায় ছিল। পরিবহনের অনেকেই জানালার গ্লাস ভেঙে শরীরে পড়ায় আহত হন। একজন শিশুও নিহত হয়েছে বলে দাবি করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মৌচাক ও মগবাজারের আশপাশে প্রচণ্ড যানজট দেখা যায়। ঘটনাস্থল দেখার জন্য আশপাশের উৎসুক জনতাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

এফএইচ/এআরএ

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।