গার্ডার দুর্ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি আইপিডির

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৮ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২২

উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডারচাপায় প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচজন নিহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, পরামর্শক ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে আইপিডি জানায়, বিআরটি সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, উদাসিনতা ও গাফিলতির কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এখন মানুষের স্বাভাবিক জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নগরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয় উদ্যোগগুলো বহুলাংশে অনুপস্থিত। ফলে রাজপথে ভবনে কিংবা নগরের যেকোনো স্থানে নাগরিকদের বেঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> প্রাইভেটকারে গার্ডার: ক্রেনচালকসহ গ্রেফতার ৯

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রকল্প দলিল ও সরকারের নির্মাণ সংশ্লিষ্ট বিদ্যমান আইনে নির্মাণকালীন নিরাপত্তাব্যবস্থা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতে করণীয় সুনির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সরকারি সংস্থার প্রত্যেকেই এ ব্যাপারে দিনের পর দিন উদাসিনতা ও গাফিলতি দেখিয়ে যাচ্ছেন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের ঘটনাকে কোনোভাবেই দুর্ঘটনা বলার সুযোগ নেই। বরং এসব বেপরোয়া ঘটনা সুস্পষ্টভাবেই গাফিলতি ও অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড।

আরও পড়ুন>> ঢাকায় চলাচলে নিরাপত্তার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

এর আগে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটে ২০১২ সালে গার্ডারধসে ১৩ জন মৃত্যুর এক দশক পার হতে চললেও তার কোনো সুষ্ঠু বিচার হয়নি। আইপিডি মনে করে, ওই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হলে বিআরটি প্রকল্পের অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেতো। এভাবেই দিনের পর দিন রাষ্ট্র ও সরকার দায়মুক্তির যে সংস্কৃতি চালু করেছে, তার মাধ্যমেই ঠিকাদার কোম্পানি, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা মানুষের জীবনের নিরাপত্তাকে অবজ্ঞা করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে।

এমএমএ/এমএএইচ/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।