প্রাইভেটকারে গার্ডার: বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত রুবেল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মেহেরপুর
প্রকাশিত: ১২:০৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২২

বাবা-মায়ের কবের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন ঢাকার উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত রুবেল হোসেন।

বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেহেরপুর রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

বুধবার ভোরে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে নিজ বাড়িতে রুবেলের মরদেহ এলে হাজারো তাকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন। সবার আহাজারিতে চারদিক ভারি হয়ে ওঠে।

রাজনগর জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান তার জানাজা নামাজের ইমামতি করেন। এ সময় এলাকার জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকার সাধারণ মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, ভোরে রুবেল হোসেনের মরদেহ বাড়িতে আসে। সকালে রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।

rubal

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে শেষে পরিবারের কাছে পাঁচজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে জনের রুবেলকে মেহেরপুর এবং বাকি চারজনকে জামালপুরে পাঠানো হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাশবাহী গাড়িতে ঝর্ণা, তার দুই সন্তান জান্নাতুন ও জাকারিয়াকে মেলান্দহের আগপয়লা গ্রামে এবং ফাহিমাকে ইসলামপুরের ঢেংড়াগড়ে নেওয়া হয়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন হয়। বুধবার সকালে মেহেরপুরে নিজের গ্রামে বাবা-মার পাশে রুবেলের মরদেহ দাফন হয়।

১৩ আগস্ট বিয়ে হয় হৃদয় এবং রিয়া মনির। বিয়ের বৌভাত শেষে হৃদয়ের বাবা রুবেল মিয়া প্রাইভেটকার চালিয়ে আশুলিয়া খেজুর বাগান এলাকায় ছেলের শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারে ছিলেন হৃদয়, রিয়া, রিয়ার মা ফাহিমা (৩৮), তার খালা ঝর্ণা (২৭) ও তার দুই সন্তান জান্নাতুন (৬) ও জাকারিয়া (৪)। পথে উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় পৌঁছালে উড়াল সড়কের গার্ডার পড়ে নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া ছাড়া সবাই মারা যান।

আসিফ ইকবাল/এসজে/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।