কলাগাছের তন্তুর কলাবতী শাড়ি তৈরির নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪৬ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৩

কলাগাছের তন্তু থেকে কলাবতী শাড়ি তৈরির কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেসব অঞ্চলে কলা বেশি উৎপাদিত হয়, সেসব এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু করতে বলেছেন তিনি।

সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কলাগাছের তন্তু থেকে প্রস্তুত করা কলাবতী শাড়ি ও কিছু হস্তশিল্পজাত পণ্য উপহার হিসেবে গ্রহণ করার সময় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তুর শাড়ি উপহার পেলেন প্রধানমন্ত্রী

এসময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভিন তিবরীজি প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ উপহারসামগ্রী তুলে দেন। কলাগাছের তন্তু থেকে প্রস্তুত তিনটি শাড়ি ও দুটি জুয়েলারি বক্স প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া হবে কলাবতী শাড়ি

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কলাগাছের তন্তু থেকে মণিপুরী ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করছেন মৌলভীবাজারের তাঁতশিল্পী রাধাবতী দেবী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়া শাড়ি তিনটি তৈরি করেছেন অঞ্জলী দেবী ও দত্ত সিংহ।

তিনি আরও বলেন, যারা তাতের কাজ করেন, তারা অত্যন্ত যত্নসহকারে তৈরি শাড়ির নমুনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখিয়েছেন। সেটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, যেখানে যেখানে কলা বেশি উৎপাদিত হয়, সেসব এলাকায় যেন এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়।

আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে শাড়ি

মাহবুব হোসেন বলেন, এটি খুবই ভালো ডিজাইনের। দেখতেও খুবই সুন্দর। যেখানে যেখানে কলাবাগান আছে, সেসব জায়গায় কাজটি শুরু করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীকে পার্বত্য এলাকায় বাস উপযোগী আশ্রয়ণের একটি বিশেষ মাচাং ঘরের মডেল, জেলা ব্র্যান্ডের ক্যালেন্ডার ও ব্র্যান্ড বুকও উপহার হিসেবে প্রদান করেন।

আরও পড়ুন: কলাবতী শাড়ি বানিয়ে দেশব্যাপী আলোচিত মৌলভীবাজারের রাধাবতী

এমএএস/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।