জামায়াত আমির

প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জড়িতরা অন্ধ সহযোগী ছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান. ফাইল ছবি, ফাইল ছবি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্ররোচনায় প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা অন্ধভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি বলেন, এই ব্যক্তিদের কারণে গুম ও খুনের ভীতিকর পরিবেশ দেশে সৃষ্টি হয়েছিল, যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এসব কথা বলেন।

খুনের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তাকে বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নিয়ে জনগণ গর্বিত থাকতে চান। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, এই বাহিনীর কতিপয় সদস্য দেশের বিদ্যমান আইন ও মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
আর কোনো প্রতিরক্ষা সদস্যের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই

জামায়াত আমির বলেন, সুনির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির অপরাধের কারণে পুরো প্রতিষ্ঠানকে কলঙ্কিত হতে দেওয়া যায় না। অপরাধের দায় কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপরই বর্তাবে।

প্রতিপক্ষ নিধনের এজেন্ডা বাস্তবায়নে জড়িতরা অন্ধ সহযোগী ছিলেন

তিনি জানান, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এরইমধ্যে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে সহায়তা করার স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, বলেন তিনি।

জামায়াত আমির আশা প্রকাশ করেন, কারও ওপর কোনো অবিচার চাপিয়ে দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট অপরাধীরা যথাযথ শাস্তির মুখোমুখি হবেন। এতে যেমন অতীতের দায় মুছে যাবে, তেমনি ভবিষ্যতে কেউ নিজের পেশা বা পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হবেন। দীর্ঘমেয়াদে জাতি উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরএএস/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।