সিরিজ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৪৮ রান
বাংলাদেশের দারুণ ডেথ বোলিংয়ে উইকেট হাতে রেখেও পুঁজি বড় করতে পারলো না আফগানিস্তান। শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ১৪৭ রানেই আটকে গেলো আফগানরা। অর্থাৎ এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৪৮।
শারজায় আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী। শুরু থেকেই আফগানদের চাপে রাখেন শরিফুল-নাসুমরা।
উইকেট না হারালেও প্রথম পাঁচ ওভার হাত খুলে খেলতে পারেননি দুই ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান আর সেদিকুল্লাহ অতল। ৫ ওভারে তারা তোলেন মাত্র ২২ রান। ষষ্ঠ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের ওপর চড়াও হন জাদরান। ওই ওভারে আসে ১৩ রান। ৬ ওভারের পাওয়ার প্লেতে আফগানরা তোলে বিনা উইকেটে ৩৫।
অষ্টম ওভারে রিশাদ হোসেনকে টানা দুই ছক্কা হাঁকান অতল। তবে পরের বলেই আরেকটি হাঁকাতে গিয়ে লংঅনে পারভেজ হোসেন ইমনের ক্যাচ হন তিনি। ১৯ বলে ২৩ রান আসে অতলের ব্যাট থেকে।
আরও পড়ুন
মারুফার বোলিংয়ের ভিডিও শেয়ার দিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা মালিঙ্গার
জিদানের ছেলে ডাক পেলেন আলজেরিয়ার জাতীয় দলে
১০ ওভারে ১ উইকেটে ৬৯ রান তোলে আফগানরা। এরপর রানের গতি বাড়াতে গেলে দ্রুত দুটি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৩৭ বলে ৩৮ করে নাসুমের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি দড়ির কাছে রিশাদের ক্যাচ হন জাদরান।
পরের ওভারে রিশাদ তুলে নেন ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলকে। অভিষিক্ত এই ব্যাটার মাত্র ১ রান করে হন লংঅনে সাইফউদ্দিনের ক্যাচ। ৯ বলে ১৪ রানে নাসুমের দ্বিতীয় শিকার হন দারউইশ রসুলি। দুর্দান্ত রানিং ক্যাচ নেন পারভেজ হোসেন ইমন।
এরপর হাত খোলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। দারুণ বোলিং করা শরিফুল ১৭তম ওভারে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে তাকে বোল্ড করেন। ২২ বলে ৩০ করেন গুরবাজ।
ডেথে দারুণ বোলিং করেন শরিফুল, মোস্তাফিজ আর সাইফউদ্দিন। ৫ উইকেট হাতে রেখেও শেষ ৪ ওভারে ৩০ রানের বেশি নিতে পারেনি আফগানরা।
নাসুম ৪ ওভারে ২৫ আর রিশাদ ৪৫ রান দিয়ে নেন দুটি করে উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে একটি উইকেট পান শরিফুল। সাইফউদ্দিন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ২২ রান। মোস্তাফিজ ছিলেন খরুচে। ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন কাটার মাস্টার।
এমএমআর/কেএসআর