অনুশীলনে প্রয়োজন ৪০ ঘর, পিসিবির আছে ২১টি
করোনা পরবর্তী সময়ে ক্রিকেট ফেরানোর লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহ থেকে অনুশীলন শুরুর পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই অনুশীলন শুরুর আগেই এলো অপ্রত্যাশিত এক বাধা। তাও হালকা কিছু নয়, খেলোয়াড়দের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই উঠে গেছে প্রশ্ন।
এরই মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে কীভাবে যথাযথ জৈব-সুরক্ষিত পরিবেশের মধ্যে অনুশীলন করাতে হবে ক্রিকেটারদের। সে মোতাবেক ২৫-৩০ জন ক্রিকেটারকে লাহোরের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে অনুশীলন করানোর কথা ভেবেছিল পিসিবি।
যেখানে চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথমে চলবে জোড়ায় জোড়ায় অনুশীলন, পরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে গিয়ে হবে তিন সপ্তাহের দলীয় অনুশীলন। সবশেষে ইংল্যান্ড সফরের জন্য নির্বাচিত দল জুলাই মাসের শুরুতে উড়াল দেবে ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে।
এমনটাই ছিলো পিসিবির পরিকল্পনা। যা বাস্তবায়ন করতে সবার আগে প্রয়োজন অনুশীলন শুরু করা। কিন্তু এটিই করতে পারছে না তারা। কেননা ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ) সর্বোচ্চ ২১ জন খেলোয়াড় তথা টিম মেম্বারের থাকার ব্যবস্থা দিতে পারবে।
অথচ যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুশীলন করানোর জন্য অন্তত ৪০টি থাকার ঘর প্রয়োজন। এছাড়া অনুশীলনের সঙ্গে জড়িত খেলোয়াড়-কোচরা পুরো সময়টা একাডেমির বাইরে যেতে পারবে না। ফলে তাদের মধ্যকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বড় জায়গারই প্রয়োজন। যা আপাতত এনসিএতে নেই।
তবে পিসিবি আবার ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে চাচ্ছে। অনুশীলন ক্যাম্পটাকে দুই ভেন্যুতে ভাগ করার চেষ্টা করছে তারা। যাতে এক মাঠে ২০ জনের বেশি মানুষ না হয়। এটি আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না, তা জানা যাবে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই।
এদিকে অনুশীলন শুরুর ক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোচিং স্টাফের কয়েকজন এখন রয়েছেন দেশের বাইরে। যেমন পেস বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস রয়েছেন অস্ট্রেলিয়াতে এবং ফিজিও থেরাপিস্ট ক্লিফ ডেকনের রয়েছেন নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায়।
এ বিষয়টিকে বড় করতে দেখতে চাইছে না পিসিবি। এরই মধ্যে জাতীয় দলের নির্বাচকরা অনুশীলনের জন্য সম্ভাব্য খেলোয়াড় তালিকা প্রস্তুত করে ফেলেছেন। তবে তারা অনুশীলনে যোগ দেয়ার অনুমতি পাবেন পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ প্রমাণিত হওয়ার পর।
সুত্রঃ ইএসপিএনক্রিকইনফো
এসএএস/এমকেএইচ