অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো আবাহনী-কিংস ফাইনাল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা ময়মনসিংহ থেকে
প্রকাশিত: ০৬:১৩ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৫

কেহ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালে আবাহনী আর বসুন্ধরা কিংসের লড়াইয়ে হয়েছে এমন অবস্থা। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে রয়ে গেছে ১-১ সমতা। ফলে অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে ম্যাচ।

১৩ মিনিটের মধ্যে হওয়া পাল্টাপাল্টি দুই গোলের পর আর কেউ পায়নি জালের খোঁজ। ১-১ গোলেই শেষ হয়েছে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনী-কিংস মহারণের নির্ধারিত সময়।

৬ মিনিটে কিংসের এগিয়ে যাওয়ার ৭ মিনিট পর আবাহনীর সমতায় ফেরা। কেবল গোল পাল্টা গোলই নয়, প্রথমার্ধে হলুদ কার্ডেরও ছড়াছড়ি ছিল। দুই দলের মাঠের ৩ জন করে এবং বেঞ্চের একজন করে মোট ৮ জনকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি সাইমুন হাসান।

ম্যাচেও ছিল উত্তেজনা। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে রেফারিকে বেশি বেশি কার্ড ব্যবহার করতে হয়েছে।

এর মধ্যে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৪৭ মিনিটের সময় প্রবল বৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ রাখতে হয় অনেকটা সময়। বৃষ্টির তোড়ে উড়ে গেছে বিলবোর্ড। ঝড়ের ঝাপটা লেগেছে প্রেসবক্সেও। পরে আবহাওয়া শান্ত হলে আবারও মাঠে গড়ায় খেলা।

এর আগে গ্যালারিতে তখনো ঠিকঠাক মতো জায়গা পেতে বসেননি দর্শকরা। ম্যাচ কেবল গড়িয়েছে ষষ্ঠ মিনিটে। এরই মধ্যে আবাহনী সমর্থকদের স্তব্ধ করে দিয়ে লিড নিয়ে নেয় বসুন্ধরা কিংস।

কিংসের প্রথম আক্রমণেই আবাহনীর রক্ষণকে মনে হয়েছিল এলোমেলো। গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে দেখা গেছে আস্থাহীন। আবাহনী যখন গুছিয়ে উঠতে শুরু করে তখনই বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় কিংস। সাদ উদ্দিনের ফ্রি কিকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লেসকানোর হেডে কাঁপে আবাহনীর জাল।

বড় ম্যাচে শুরুতেই লিড কিংসকে করে তোলে আরও আত্মবিশ্বাসী। দ্রুত গোল শোধ করতে মরিয়া হয়েই আক্রমণের চেষ্টা করছে আবাহনী। কিংসের ডিফেন্সের কঠোর নজরদারিতে ভেস্তে যাচ্ছিল আবাহনীর চেষ্টা।

তবে ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি আবাহনী। মারুফুল হকের দল স্কোরলাইন ১-১ করে ১৩ মিনিটেই। বাম দিক থেকে এমেকা ঢুকে বল ফেলেন কিংসের বক্সে। ইব্রাহীম গোল করে ম্যাচে ফেরান আকাশি-নীলদের।

আরআই/এমএমআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।