‘প্রয়োজনে সড়কপথে ঢাকায় ফিরবো’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:৪৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২১

শনিবার কলকাতার মেডিকেয়ার হাসপাতালে ডান পায়ের লিগামেন্ট অপারেশন হয়েছে জাতীয় দল ও আবাহনীর স্ট্রাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবনের। ওই রাত হাসপাতালে কাটিয়ে পরদিন সকালেই হোটেলে ফিরেছেন তিনি। ডা. কাঞ্চন ভট্টাচার্য্য বলেছেন- ঢাকায় চলে যেত পারো। কিন্তু জীবন আসবেন কীভাবে?

জাগো নিউজ : কেমন আছেন?

জীবন : এখন বেশ ভালো। কোনো ব্যথা নেই। অপারেশনের পর অনেক ব্যথা ছিল। কারো ফোন রিসিভ করতে পারিনি। এমনকি আমার পরিবারের কারো সঙ্গেও কথা বলতে পারিনি। যারা ফোন দিয়েছিলেন এখন সবাইকে ব্যাক করবো।

জাগো নিউজ: আপনি বলছিলেন অপারেশন খুব ভালো হয়েছে। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

জীবন : হ্যাঁ। খুব ভালো ডাক্তার। ভালো অপারেশন হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টায় অপারেশন শুরু হয়েছিল। এক ঘণ্টা ১৫-২০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। পরদিন সকালেই ডাক্তার আমাকে রিলিজ দিয়েছেন।

জাগো নিউজ: পায়ের ইনজুরি নিয়ে আর কী বলেছেন ডাক্তার?

জীবন : ডাক্তার বলেছেন সমস্যাটা পুরোনো। তবে আমি বুঝলাম নেপালের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সব ঘটনা ঘটেছে। কাতার থেকে দেশে ফিরে ফেডারেশন কাপের ম্যাচ খেলেছি। লিগের প্রথম ম্যাচও খেলেছি।

জাগো নিউজ : হোটেল কীভাবে সময় কাটছে?

জীবন : আসলে একা আসায় একাকি সময় কাটাতে হচ্ছে। তবে স্থানীয় তিনজন আমাকে খুব সাহায্য করেছেন। তারাই সবকিছু করে দিয়েছেন।

জাগো নিউজ : এরা কারা আপনাকে এতো সহযোগিতা করেছেন?

জীবন : একজন ভারত জাতীয় দল ও মোহনবাগান দলের ফুটবলার প্রীতম কোটাল। সে এবং তার স্ত্রী আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। অন্যজন আজিজ ভাই।

জাগো নিউজ : এই আজিজ ভাই কে?

জীবন : আসলে তার সঙ্গে আমার ঢাকায় পরিচয় হয়েছিল যখন উত্তর বারিধারা ক্লাবে খেলি। এখন তিনি কলকাতায় থাকেন। ঢাকা থেকে তাকে ফোন দিয়েছিলাম। বলেছিলেন, চলে আসো, কেনো সমস্যা নেই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, অন্য কাজগুলো তিনি করেছেন।

জাগো নিউজ : কবে ঢাকায় ফিরতে পারবেন? লকডাউন বেড়েছে, আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞাও তো বেড়েছে।

জীবন : আসলে আমি লকডাউন শেষ হওয়ার পর ২১ এপ্রিল ফিরতে চেয়েছিলাম। ওই দিনের টিকিটও কনফার্ম করা হয়েছে। মঙ্গলবার কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য আমার স্যাম্পলও নেয়ার কথা। লকডাউন ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা বেড়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লাম। আপনার ফোন রেখেই আমি ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করবো।

জাগো নিউজ : ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত থাকতে হবে মনে হয় কলকাতায়, তাই না?

জীবন : না ভাই, ওতো দিন থাকবো না। প্রয়োজনে আমি সড়কপথে চলে যাব বেনাপোল হয়ে। আজিজ ভাই আমাকে বেনাপোল পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন। তারপর একটা ব্যবস্থা হবেই।

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।