ঈদের ছুটিতে কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন ফুটবলাররা?
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ফুটবলার, কোচ, অফিসিয়াল, রেফারিসহ ম্যাচের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই করোনা পরীক্ষা করতে হয়েছে। প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্ব শুরুর পর ফুটবলাররা জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই ছিলেন। কিন্তু লিগ স্থগিত হওয়ায় করোনা ঝুঁকির মধ্যেই ঈদ করতে ফুটবলাররা চলে গেছেন যে যার বাড়িতে।
জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের এ ঝুঁকি থেকে দুরে রাখতেই বাফুফের ন্যাশনাল টিমস কমিটি ঈদের আগেই জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু করেছিল। ক্লাবের খেলা শেষ হলেই ডাক পাওয়ারা ক্যাম্পে উঠবেন। তাতে করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কমই থাকতো। কিন্তু সব পরিকল্পা ভেস্তে গেছে ক্যাম্পে সব ফুটবলার না পাওয়ায়।
বসুন্ধরা কিংস তাদের ১০ ফুটবলার ছাড়েনি। উল্টো বাফুফেকে বেশ কয়েটি শর্তও দিয়েছিল ক্লাবটি। বাফুফেও কড়া ভাষায় বসুন্ধরা কিংসকে চিঠি দিয়ে খেলোয়াড় ছাড়তে বলেছিল। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি- শেষ পর্যন্ত বাফুফেকে ক্যাম্প স্থগিত করতে হয়েছে ‘ঈদের ছুটি’র নামে।
বাফুফের পরিকল্পনা ছিল তাতে ১২ মে সবাই ক্যাম্পে ওঠার পর একসঙ্গে করোনা পরীক্ষা করিয়ে চারদিন হোটেলে জিম ও সুইমিং সেশন করিয়ে ১৫ বা ১৬ মে মাঠের অনুশীলন শুরু করবে। এরমধ্যে লন্ডন থেকে ফেরা কোচ জেমি ও গোলরক্ষক কোচের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনও শেষ হবে।
কিন্তু সব ফুটবলার না পাওয়ায় বাফুফে ক্যাম্প স্থগিত করতে বাধ্য হয়। স্বাস্থ্যবিধিকে প্রাধান্য দিয়েই অনুশীলনের রোডম্যাপ করেছিল বাফুফে। সব খেলোয়াড় না পাওয়ায় লেজে-গোবরে অবস্থা হয় জাতীয় দলের ক্যাম্পের।
প্রশ্ন হলো ছুটিতে গিয়ে ফুটবলাররা কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানবেন? গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ সামনে রেখে আগস্টে ক্যাম্প শুরু হয়েছিল গাজীপুরের সারা রিসোর্টে। কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার পর ক্যাম্পের ৫০ ভাগ ফুটবলারের দেহে ভাইরাস সনাক্ত হয়েছিল। যার অর্থ ছুটিতে থাকা অবস্থায় তারা স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো অনুসরণ করেনি। এবারও যদি তাই?
যদি এর মধ্যে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ স্থগিতের ঘোষণা আসে তাহলে তো ক্যাম্প বাতিলই হয়ে যাবে। খেলার সূচি ঠিক থাকলে ১৬ মে বিকেলে খেলোয়াড়া ক্যাম্পে উঠবেন। তবে কতজন উঠবেন তা বাফুফেরও জানা নেই। সবকিছু বাফুফের হাতেও তো নেই।
আপাতত যে পরিকল্পনা তাতে ১৬ মে বিকেলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেল্টালে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। যারা উঠবেন তাদের পরীক্ষা করানো হবে। যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে তাদের নিয়ে অনুশীলন শুরু হবে। ন্যাশনাল টিমস কমিটি ১৭ মে থেকেই খেলোয়াড়দের অনুশীলন শুরু করতে চায়। যাতে ৫-৬ দিন অনুশীলন করে দল কাতার যেতে পারে।
আরআই/আইএইচএস/