ধর্ম অবমাননার দায়ে এবার ইউআইইউ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- কে কটূক্তির দায়ে এবার বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মোনসের আলী।
বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউআইউ শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা আজ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোনসের আলীকে (শিক্ষার্থী আইডি নম্বর: ০১১২২৩০৮৫৬) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে মোনসের আলী ইসলাম ধর্ম, আল্লাহ, মহানবী ও কোরআন নিয়ে কটূক্তিমূলক কথা বলেছেন অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করেন একদল শিক্ষার্থী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। এসময় শিক্ষার্থীরাও মেডিকেল সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন।
আরও পড়ুন
অপূর্ব পালকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করলো নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে কোরআন বিতরণ
সেসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুই দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমটি, অতি দ্রুত অভিযোগ ওঠা শিক্ষার্থী মোনসের আলীকে স্থায়ী বহিস্কার করতে হবে ও আইনের আওতায় আনতে হবে। দ্বিতীয় দাবি ছিল, অতি দ্রুত ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখানোর মতো কোনো আয়োজন করতে হবে এবং ওই দিন সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মোনসের আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগে সেকেন্ড ট্রাই-সেমিস্টারে পড়ালেখা করছেন। তিনি উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুল এলাকায় এক ছাত্রাবাসে থাকেন। সেখানে তার একজন রুমমেটকে তিনি নবী, কোরআন ও ধর্ম নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করতেন। তার রুমমেটকেও নাস্তিকতায় বিশ্বাসী হতে চেষ্টা চালাাতেন।
মোনসের আলীর এমন আলোচনা ও কটূক্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে কক্ষে তার আলোচনা রেকর্ড করেন তিনি। তাতে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির বিভিন্ন বিষয়ে উঠে আসে। সেই অডিও রেকর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার (৮ অক্টোবর) মোনসের আলীকে ক্যাম্পাসে বেধড়ক মারধর করেন।
এর আগে, পবিত্র কোরআন অবমাননা করায় গত ৫ অক্টোবর অপূর্ব পাল নামে এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অপূর্ব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এএএইচ/কেএসআর/জিকেএস