বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
শীত উৎসবে ক্যাম্পাস মাতিয়েছে ‘টঙের গান’

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) প্রথমবারের মতো ‘শীত উৎসব’ ১৪৩০ পালিত হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে নান্দনিক বাংলা গান, লোকগান, পাহাড়ি গান, হাসান রাজাসহ তাদের নিজের তৈরি গান গেয়ে ক্যাম্পাস মাতিয়েছে ‘টঙের গান’।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাসেল চত্বরে টঙের গান একক আয়োজনে এ শীত উৎসব পালন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নবান্ন উৎসব, পিঠা উৎসবসহ আরও অনেক উৎসব হয়। কিন্তু আজকের উৎসবটি একটু ভিন্ন। শীতকে উপেক্ষা করে বিকেল থেকেই শিক্ষার্থীরা ভিড় করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাসেল চত্বরে। শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীরাও ভিড় করে।
আরও পড়ুন: বেরোবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আজ
ক্যাম্পাসের ভিতরে বাইরে যেকোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গানের মাধ্যমে তাদের জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়েই চলেছে। অল্পদিনেই সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে তাদের গান। গানের মাধ্যমে সম্প্রীতি ছড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য দলটির।
সম্প্রতি টঙের গান ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জ নামক আইডিয়া শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মে ‘গানের মাধ্যমে সম্প্রীতি ছড়াই’ শীর্ষক আইডিয়া শেয়ার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় ইউএনডিপির একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিল টঙের গান।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন বেরোবির ৪০ শিক্ষার্থী
শীত উৎসবে বুড়িরহাট থেকে আসা সুমাইয়া আক্তার বলেন, টঙের গান শুনতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই যখন অনলাইনে দেখলাম আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শীত উৎসবে টঙের গান থাাকছে তাই প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে এখানে আসছি। সত্যিই অনেক ভালো লাগছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলবির বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে টঙের গানের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। আবির ভাইয়ের গলার কণ্ঠ অসাধারণ।
টঙের গানের ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা নিমু বলেন, টঙের দোকানে চা খাওয়ার সময় উঁচু-নিচু, ধনী-গরিব, সাদা-কালো সবাই সমান। টঙের গান নামটির মাঝেই সম্প্রীতির উল্লেখ রয়েছে। আমরা গানের মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়েই অবহেলিত বেগম রোকেয়া
টঙের গান লোকসংগীতনির্ভর একটি গানের দল। দলটির জন্ম ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক হলেও এর প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্যরা একে ছড়িয়ে দিতে চান পুরো দেশে। সেজন্য দলটি এখন রংপুরের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে।
জেএস/এমএস