রাজশাহী
সেনাবাহিনীর অভিযানের ঘটনায় পুলিশের মামলা, চাওয়া হবে রিমান্ড
রাজশাহীর কাদিরগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ডক্টর ইংলিশ কোচিংয়ের মালিক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করে। এর আগে সেনা অভিযানে বিস্ফোরক, অস্ত্র ও মাদকদ্রব্যসহ তাদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রাজশাহী মেট্রপলিটন পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সেনা অভিযানে আটকদের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাকদ্রব্য আইনে একটি মামলা করেছে। এ মমলায় গ্রেফতার প্রত্যেকের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন প্রস্তুত করছে পুলিশ। আজ তাদের আদালত পাঠানো হবে।
- আরও পড়ুন-
রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর অভিযান: সাবেক মেয়র লিটনের ভাতিজাসহ আটক ৩ - অস্ত্র উদ্ধার, রাজশাহীতে বাড়ি ঘিরে রেখেছে সেনাবাহিনী
- ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’
এর আগে শনিবার রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন দরিখরবোনা এলাকায় ৪০ ইস্ট বেঙ্গলের (মেকানাইজড) একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। দীর্ঘ এক মাসের গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের সঙ্গে জড়িত সন্দেহজনক তিনজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- ডক্টর ইংলিশ নামক কোচিং সেন্টারের মালিক ও ইংরেজি শিক্ষক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য। তিনি রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের ভাতিজা। এছাড়া মো. রবিন এবং মো. ফয়সাল। তাদের দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে।
অভিযানে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি, সামরিক মানের দুরবিন ও স্নাইপার স্কোপ, ছয়টি দেশীয় অস্ত্র, বিদেশি সাতটি ধারালো ডেগার, পাঁচটি উন্নত মানের ওয়াকিটকি সেট, একটি সামরিক মানের জিপিএস, একটি টিজারগান, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কার্টিজ, বিপুল সংখ্যক অব্যবহৃত সিম কার্ড, বিস্ফোরক বোমা বানানোর সরঞ্জামাদি, ছয়টি কম্পিউটার সেট, নগদ ৭ হাজার ৪৪৫ টাকা, বিভিন্ন দেশি-বিদেশি মদ উদ্ধারসহ ১১টি নাইট্রোজেন কার্টিজ যেগুলো বিস্ফোরণের কাজে ব্যবহৃত তাজা সামগ্রী হওয়ায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
সাখাওয়াত হোসেন/এফএ/জেআইএম