১৮ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিদ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৭:৪৯ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজশাহীর তানোরে দুই বছরের শিশু সাজিদের জন্য পুরো গ্রাম শ্বাসরুদ্ধ। ১৮ ঘণ্টা পার হলেও গভীর নলকূপের পাইপে আটকে যাওয়া সাজিদকে উদ্ধার করা যায়নি।

এর আগে গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের ধানখড়ের মাঠে খেলতে খেলতে হঠাৎ ৫০ ফুট গভীর একটি গর্তে পড়ে যায় সে। মাত্র ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সেই অন্ধকার গর্তে পড়ে যাওয়া ছোট্ট শিশুটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতার প্রাথমিক ধাপ পেরিয়ে এক্সাভেটর দিয়ে মাটি সরানো ছাড়া শিশু সাজিদকে উদ্ধার সম্ভব হচ্ছিল না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ছোট্ট সাজিদকে উদ্ধারে এক্সাভেটরের খোঁজ করা হচ্ছিল। কিন্তু উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সাভেটর পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি পুরো তানোর উপজেলায় খোঁজ করেও কোনো এক্সাভেটর পাওয়া যায়নি। অবশেষে রাত ৮টার দিকে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে ছোট্ট দুটি এক্সাভেটর এনে মাটি খননকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের উদাসীনতায় এবং গাফিলতির কারণে সাজিদকে উদ্ধারে বিলম্ব হচ্ছে। তারা বলেন, শিশুটি বুধবার দুপুর ১টার দিকে গর্তে পড়ে যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে এক্সাভেটর আসতে আসতে রাত ৮টা বেজে যায়।

স্থানীয় নাজমুস সাকিব নামে একজন বলেন, ছোট দুটি এক্সাভেটর দিয়ে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু শুরুতেই যদি বড় এক্সাভেটর দিয়ে কাজ শুরু করা যেত তাহলে হয়তো দ্রুতই উদ্ধারকাজ শেষ করতে পারতো উদ্ধার কর্মীরা।

তানোর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আব্দুর রউফ বলেন, প্রথমে আমরা তানোর উপজেলায় খোঁজ করেছি, কোথাও এক্সাভেটর পাইনি। পরে পাশের উপজেলা মোহনপুর থেকে দুটি এক্সাভেটর নিয়ে এসে মাটি খননের কাজ শুরু করি। এরপর রাত পৌনে ২টার দিকে আরেকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্সাভেটর ঘটনাস্থলে আসে। সেটি দিয়ে দ্রুত মাটি খননকাজ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করতে পারবো।

সাখাওয়াত হোসেন/এমআইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।