উপকূলে মাটির ক্ষয়রোধে এক লাখ গাছের চারা রোপণ

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ০৭ জুলাই ২০২৪
কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকায় বনায়ন উদ্বোধন

উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় মাটির ক্ষয়রোধ, বেড়িবাঁধ সুরক্ষা ও সুফল প্রকল্পের আওতাভুক্ত সদস্যদের সুবিধায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ১ লাখ গাছের চারা রোপণ করেছে উপকূলীয় বনবিভাগ, পটুয়াখালী।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউবন এলাকায় এই বনায়নের উদ্বোধন করেন কোস্টাল অঞ্চল বরিশালের বন সংরক্ষক মো. হারুন অর রশিদ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপকূলীয় বনবিভাগ পটুয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় তরুণ ও গণ্যমান্যরা।

বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে নতুনপাড়া পর্যন্ত সমুদ্ররক্ষা বেড়িবাঁধের দুইপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকায় ২০টি সারিতে মোট এক লাখ গাছের চারা রোপণ করা হবে। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে এই চারা রোপণ শেষ করা হবে বলে জানায় বনবিভাগ।

উপকূলে মাটির ক্ষয়রোধে এক লাখ গাছের চারা রোপণ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এখানে লাগানো হয় ঝাউ, আকাশমনি, অর্জুন, তেঁতুল, ইপিল ইপিল, মেহগনি, শিশু, জারুল, আমলকিসহ মোট ১৫ প্রজাতির গাছের চারা।

কোস্টাল অঞ্চল বরিশাল বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. হারুন অর রশিদ খান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ ঝড়-ঝাপটায় প্রতিনিয়ত ধ্বংস হচ্ছে উপকূল, তাই এই এলাকা ও সমুদ্ররক্ষা বেড়িবাঁধকে টেকসই করতে সরকারের সুফল প্রকল্পের আওতায় আজকের এই এক লাখ গাছের চারা রোপণের আয়োজন। এতে একদিকে মাটিক্ষয় রোধ, ঘূর্ণিঝড় থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষা হবে অন্যদিকে এই সুফল প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ জন সুফলভোগীও ভালো থাকবেন।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।