সোহেলের পরিবারের কাছে হানসিকার মায়ের অদ্ভুত দাবি

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২৩

সোহেল কাঠুরিয়ার সঙ্গে হানসিকা মোতওয়ানির বিয়েতে রাজকীয় আয়োজনের কমতি ছিল না। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাজস্থানের জয়পুরের মুন্ডোটা ফোর্ট এবং প্রাসাদে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নিয়েই বিয়ে করেছিলেন এই দম্পতি।

হানসিকা সোহেলের বিয়ের শেষাংশে অনুষ্ঠানে দেরি করে আসার জন্য অভিনেত্রীর মা মোনা মোতওয়ানিকে বরের পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ লাখ রুপি যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দেওয়ার দাবি করতে দেখা গেছে।

কোন বাধা-বিপত্তি ছাড়াই বিয়ের পুরো আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও সোহেলের পরিবারের ওপর ক্ষুব্ধ হন হানসিকার মা। তাকে তাদের সম্পর্কে অভিযোগ করতে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: ওটিটিতে দেখা যাবে হংসিকার বিয়ে

অভিযোগের সুরেই হানসিকার মা বর পক্ষকে জানান, ‘আমার একটা বিনীত অনুরোধ আছে। কাঠুরিয়া পরিবারের লোক এমন, যারা খুব দেরি করে এবং মোতওয়ানিরা খুব সময়নিষ্ঠ। আপনারা যদি আজ দেরিতে আসেন, তাহলে প্রতি মিনিট দেরি করার জন্য আপনাদের অবশ্যই আমাকে ৫ লাখ রুপি দিতে হবে। আমার এই অনুরোধের কারণ বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে ৬টার মধ্যে অশুভ লগ্ন শুরু হবে। তাই আমার অনুরোধ আপনারা যেন একটু তাড়াতাড়ি আসেন।’

এরপর সোহেলকে মণ্ডপে অপেক্ষা করতে দেখে হানসিকা তার কাছে যান, এবং তার সে সময়ের অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘এ এক অদ্ভুত অনুভূতি! আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করতে যাচ্ছি এই অনুভূতি আমায় কড়া নেড়ে গেছে। বিষয়গুলো বাস্তব হয়ে উঠছে। আমি বিয়ে করছি। আমি বুঝতে পারছি না কিভাবে এটাকে ব্যাখ্যা করব। এটা ছিল একদম আলাদা কিছু, আমি ভেঙে পড়লাম! এবং এটি আমার কাছে সেরা অনুভূতি বলে মনে হয়েছে।’

আরও পড়ুন: খোলা চুলের হানসিকা

সোহেল একজন মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি হানসিকার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মের একজন অংশীদার হিসেবেও কাজ করেন। তিনি একজন উদ্যোক্তা এবং একটি টেক্সটাইল ফার্মেরও মালিক। যেটি ১৯৮৫ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানি করে আসছে।

গত বছরের নভেম্বরে সোহেলের সঙ্গে বাগদানের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন হানসিকা। তিনি আইফেল টাওয়ারে তার স্বপ্নীল প্রস্তাবের ঝলক শেয়ার করেছিলেন তার ভক্তদের সাথে। প্রিয় অভিনেত্রির বিয়ে নিয়ে ভক্তদের মনেও উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়।

এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।