রাশমিকার ‘ভাইরাল ভিডিও’ কাণ্ডে পাশে দাঁড়ালো সরকার

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০২৩

দক্ষিণী সিনেমার খ্যাতিমান নায়িকা রাশমিকা মান্দানার মুখ ব্যবহার করে ভাইরাল হওয়া ‘ডিপফেক এআই’ ভিডিও নিয়ে চারদিকে আলোচনার ঝড় উঠেছিল। এখনো আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে রাশমিকা বেশ বিব্রত হয়েছেন।

এ ঘটনায় রাশমিকার পাশে এরই মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর দাঁড়িয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্ষতিকর ভুল তথ্য সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম দ্বারা মোকাবেলা করা প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন: রাশমিকার ফেক ভিডিও ভাইরাল, চটেছেন অমিতাভ

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই, তাদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চন অন্যতম।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, কালো ডিপনেক ড্রেস পরে একটি লিফটে উঠছেন ‘পুষ্পা’ খ্যাত এ অভিনেত্রী।

এরপর এক সাংবাদিক ও রিসার্চার অভিষেক কুমার, প্রথম এটি সামনে আনেন যে এই ভিডিও ভুয়া। এক্স হ্যান্ডলে তিনি আসল ভিডিওটি পোস্ট করেন। এমনকী তিনিও এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

কারণ ভারতে এ ‘ডিপফেক’-এর পরিমণ ক্রমশ বাড়ছে। যে মূল ভিডিও সেটি আসলে ব্রিটিশ-ভারতীয় ইনফ্লুয়েন্সার জারা প্যাটেলের। কিন্তু ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তির সাহায্যে কারচুপি করে তার মুখ সরিয়ে সেখানে রাশমিকার মুখ বসিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: আবারও ভাইরাল রাশমিকার নাচ!

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে ভারতের প্রত্যেক প্রথম সারির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য। অন্য ব্যক্তির বেশ ধারণ করে এমন কোনো বিষয়বস্তু হোস্ট না করার জন্য এবং আইন অনুযায়ী অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবিলম্বে এ ধরনের বিষয়বস্তু প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য ব্যবহারকারীদের জানানোর জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।

সোমবার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর রাশমিকার পাশে দাঁড়িয়ে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সমস্ত ডিজিটাল নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং আস্থা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।