ভালোবাসার মানে জানালেন পাওলি

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
পাওলি দাম। ছবি: সংগৃহীত

আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভালোবাসা দিবস। এ দিনটি মানেই একে অপরের ভালোবাসায় হারিয়ে যাওয়ার সময়। অনেক দূরের ভালোবাসার মানুষকেও বিভিন্নভাবে স্মরণ করছেন সবাই। ভালোবাসা দিবসে টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পাওলি দাম গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি ভালোবাসার মানে কি? এবং দূরে থাকা ভালোবাসার মানুষদের নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।

পাওলির মতে, ‘ভালোবাসার ক্ষেত্রে দূরত্ব কোনো ইস্যু হতেই পারে না। প্রকৃত প্রেমে তো দূরত্ব শব্দটারই কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। জায়গার দূরত্ব কোনোদিন প্রেম কমাতে পারে না। যদি মনের দূরত্ব তৈরি হয় তাহলে অবশ্যই প্রেম পাখি হয়ে উড়ে যাবে। অনেক কাপলই এখন একসঙ্গে থাকে না। কাজের প্রয়োজনে দুজনকে পৃথিবীর দুই প্রান্তে থাকতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবসময় একসঙ্গে এক শহরে থাকার সুযোগ নাই হতে পারে। কাজের সূত্রে আলাদা জায়গায় থাকার প্রয়োজন হয়েই থাকে। তাই আমার একদমই মনে হয় না জায়গার দূরত্ব দুটো মানুষের প্রকৃত প্রেমে কোনো প্রভাব ফেলতে পারে। সম্পর্ক দুজন মানুষের মনের মিলন। সেই মন দুটো যদি এক সুতায় বাঁধা থাকে তাহলে প্রেম হবে অটুট।’

ভালোবাসার মানে জানালেন পাওলি

ভালোবাসার মানে কি? এ প্রসঙ্গে পাওলি বলেন, ‘আমার কাছে ভালোবাসার সংজ্ঞাটা এমনই। ভালোবাসা দিবসে প্রেমের ইস্তেহার করতে হবে এই নিয়মে একেবারেই বিশ্বাসী নই। ভালোবাসার মানুষের জন্য প্রত্যেকটা দিনই ভ্যালেন্টাইনস ডে। এক সপ্তাহ ধরে যে বিভিন্ন দিবস পালন হয়, আমার তো মনে হয় সেটা সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক একটা অংশ। গোলাপ বা জিনিস কিনলে বিক্রেতারা লাভবান হবে। আমি নিজেও কিন্তু, ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে বিশেষভাবে উদযাপন করি না। আজ তো কাজের জন্য রীতিমতো ট্রাভেল করছি।’

আরও পড়ুন:

এ দিবসে উপহার দেওয়া নিয়ে পাওলির ভাষ্য, ‘ভালোবাসা দিবসে আলাদা করে একে অপরকে কোনো উপহারও দেওয়া হয়ে ওঠে না। বিয়ের এতগুলো বছর পর গিফট দেওয়ার জন্য এই অজুহাতগুলো এখন আর প্রয়োজন নেই। আসলে এগুলোতে আমি বা আমার স্বামী কেউই বিশ্বাসী নই। আমাদের জন্য ৩৬৫ দিনই ভালোবাসা দিবস।’

এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।