৩১ বছর পর আবার মুক্তি পেলো সালমান-মৌসুমীর ‘অন্তরে অন্তরে’

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০২৫

পুরান ঢাকার কোর্ট-কাচারি এলাকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী আজাদ সিনেমা হল। সময়ের পরিক্রমায় অনেক কিছু বদলালেও বদলায়নি হলটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা। এর প্রমাণ মিলল নব্বইয়ের দশকের কালজয়ী রোমান্টিক ছবি ‘অন্তরে অন্তরে’-র প্রতি দর্শকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসায়।

মুক্তির ৩১ বছর পরও সালমান শাহ ও মৌসুমীর রসায়ন দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করছেন দর্শকরা। যেন সময় থেমে গেছে সেই ১৯৯৪ সালে। আজও হলের পর্দায় এই জুটির প্রেম, খুনসুটি, কমেডি আর আবেগঘন মুহূর্তগুলো দেখে দর্শকদের হৃদয়ে বয়ে যাচ্ছে এক মধুর আবেশ। হল কর্তৃপক্ষ এমনটাই জানাচ্ছে।

ছবিটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও নেটিজেনদের আগ্রহ ও আবেগ লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকেই সিনেমাটি হলে গিয়ে দেখছেন। অন্যকে দেখতে উৎসাহিত করছেন। তাদের ভাষায়, ‘সালমান শাহ নেই, এ সত্য আজও অনেক ভক্ত মেনে নিতে পারেন না। কিন্তু পর্দায় তার উপস্থিতি এখনও জীবন্ত। অন্যদিকে মৌসুমী এখনো জীবন্ত কিংবদন্তি। তাদের প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা আজও প্রাণবন্ত।’

৩১ বছর পর আবার মুক্তি পেলো সালমান-মৌসুমীর ‘অন্তরে অন্তরে’

আজাদ সিনেমা হলে ছবিটি ডিসিতে দেখা যাচ্ছে মাত্র ১০০ টাকায়। অন্যান্য সিটের মূল্য আরও কম।

পরিচালক শিবলী সাদিকের হাত ধরে ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘অন্তরে অন্তরে’ ছবিটি তৎকালীন সময়ে বাম্পার হিট হয়েছিল। ছবির ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘এখানে দুজনে নিরজনে’, ‘ভালবাসিয়া গেলাম ফাঁসিয়া’, ‘ও দাদী ও দাদী, একটু আদর করো না’, ‘অন্তরে অন্তরে পিরিতি বাসা বান্ধেরে’, ‘ও হিরো ও হিরো, আই লাভ ইউ’ শিরোনামের গানগুলোও ছিল তুমুল জনপ্রিয়। এখনো এসব দর্শকের গান মুখে মুখে ফেরে।

‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। প্রথম ছবিতেই তাদের জুটি দারুণ সাড়া ফেলে। এর পরই তারা চুক্তিবদ্ধ হন ‘অন্তরে অন্তরে’ ছবিতে। এতে সালমান-মৌসুমী জুটির ম্যাজিকেল কেমিস্ট্রির পাশাপাশি দর্শক হৃদয়ে দাগ কাটে দাদী চরিত্রে কিংবদন্তি আনোয়ারার দুর্দান্ত অভিনয়। সেইসঙ্গে রাজীব, নাসির খানের চরিত্র দুটিও দর্শকের মনে দাগ কেটে যায়।

এলআইএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।