জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪০ পিএম, ০২ এপ্রিল ২০২৩

চিত্রনায়ক জায়েদ খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে শিল্পীদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু জিতেও শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারেননি জায়েদ। এ নিয়ে আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে তাকে। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে মামলা এখনও চলমান।

এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এক সভায় আজ (২ এপ্রিল) তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নায়ক সায়মন সাদিক। তিনি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সায়মন জানান, আজ কার্যনির্বাহী পরিষদের নবম সাধারণ সভা ছিল। এ সভায় অন্য সদস্যদের সম্মতি নিয়ে জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে।

স্থগিতের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, জায়েদ খান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন কথা বলেছেন, যা সমিতির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।

সায়মন আরও জানান, পরে সংগঠনের উপদেষ্টামণ্ডলী ও সমিতির আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গণমাধ্যকে জানানো হবে।

এদিকে তার বিরুদ্ধে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটি শিল্পী সমিতির সংবিধানবিরোধী বলে আজ সকালে দাবি করেন জায়েদ খান। তিনি অভিনেত্রী নিপুণ বরাবর একটি চিঠিও দিয়েছেন ১ এপ্রিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

আরও পড়ুন: জায়েদ খানের শিল্পী সমিতির সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত রোববার

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, আর্টিস্ট রুম, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫’- এই ঠিকানায় নিপুণ বরাবর চিঠিতে জায়েদ খান লিখেছেন, ‘২২ ফেব্রুয়ারি আপনার ইস্যুকৃত বেআইনি নোটিশের জবাব। আমি পেশাগত কাজে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি। এ সময় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি প্রেরণ করেন আমাকে। আমি দেশের বাইরে থাকায় যথাসময়ে নোটিশটি আমার ওপর জারি হয় নাই। ৩১ মার্চ সেটি আমি পেয়েছি। নোটিশের জবাব প্রদান করা হলো।’

জায়েদ সেখানে আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ওই নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। মাননীয় আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি ‘frustrate’ করার অসৎ উদ্দেশ্যে ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে। আমার সদস্যপদ নিয়ে যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। ওই অবৈধ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’

এমআই/এমএমএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।