মুরাদের ১৭টি অডিও-ভিডিও সরানো হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
ফাইল ছবি

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অসৌজন্যমূলক ও বিতর্কিত অডিও-ভিডিও চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছেন বিটিআরসির আইনজীবী। এর মধ্যে ১৫টি ফেসবুক থেকে ও ইউটিউব থেকে দুইটি অপসারণ করা হয়েছে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এগুলো সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারই আলোকে মুরাদের ‘অশ্লীল’ অডিও-ভিডিও সরানোর অগ্রগতি জানানো হয়।

আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব আদালতে বলেন, আদালতের আদেশটি নজরে আসার পরেই বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার নাসিমের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ শুরু করে। এরপর ওই কমিটি ফেসবুক এবং ইউটিউবকে নোটিশ করে। এরপর ফেসবুক ২৭২টি এবং ইউটিউব ১১৫টি লিংক শনাক্ত করেছে। এরমধ্যে ফেসবুক ১৫টি এবং ইউটিউব দুইটি লিংক অপসারণ করেছে। আমরা আশা করছি বাকী সবগুলো অপসারণ করা হবে। এর বাইরেও ফেসবুক তাদের নিজস্ব টেকনিক্যাল টিম আরও দুই শতাধিক লিংক শনাক্ত করেছে।

এরপর আদালত বলেন, বিটিআরসির একটি ভিজিলেন্স (পরিদর্শক) টিম থাকা উচিত। যাতে বিটিআরসি বিষয়গুলো নজরে রেখে নিজেরাই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

পরে আইনজীবী আদালতকে বলেন, বিটিআরসি এটা একা একা করতে পারবে না। এটা যাতে করা হয়, সেজন্য একটা রেগুলেশন এরই মধ্যে ড্রাফট করেছি। যেটি আমরা হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চে দাখিল করেছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এটা যখন চূড়ান্ত হবে, তখন এসব লিংক শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের অশালীন কথাবার্তার অডিও-ভিডিও সরাতে গতকাল (মঙ্গলবার) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা মুরাদ হাসানের অশ্লীল-কুরুচিপূর্ণ ফোনালাপের অডিও-ভিডিওর প্রসঙ্গ আদালতে তুলে ধরে সেগুলো সরানোর নির্দেশনা চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। শুনানি নিয়ে আদালত ভিডিও-অডিও অপসারণের কথা বলেন।

আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আদালতে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা মুরাদ হাসানের ওই অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অডিও-ভিডিও বাচ্চারা শুনলে বা দেখলে তাদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের মানসিক অবক্ষয় দেখা দেবে। সমাজকে বাঁচাতে এসেছি বলে আদালতে বলেছি। যে কারণে ভাইরাল হওয়া অডিও-ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানো প্রয়োজন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনিকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর করা অশ্লীল মন্তব্য ঘিরে কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যেই সোমবার ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপের একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি নোংরা ও অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে তাকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

২০১৯ সালের মে মাসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য। তার বাবা প্রয়াত মতিউর রহমান তালুকদার জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

এফএইচ/কেএসআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।