বিয়ের আগে কনের চুলের যত্নে থাকুক নিখুঁত ছোঁয়া
বিয়েবাড়িতে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকেন কনে। তাই বিয়ের দিন প্রতিটি কনে চান নিজেকে আরও সুন্দর ও নজরকাড়া করে তুলতে। শাড়ি, লেহেঙ্গা কিংবা গাউন-কোন পোশাকে নিজেকে সবচেয়ে মানাবে, তা নিয়ে চলে বিস্তর পরিকল্পনা। কিন্তু এত কিছুর মাঝেও একটি বিষয় আলাদা করে গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে, আর তা হলো চুলের যত্ন। কারণ চুলের সাজ ঠিকঠাক না হলে পুরো সাজপোশাকই যেন ম্লান হয়ে যায়।
নিজের বিশেষ দিনে চুল যেন থাকে ঝলমলে ও প্রাণবন্ত-সেজন্য যত্ন নেওয়া শুরু করতে হবে বিয়ের অনেক আগেই।
বিয়ের আগে চুল প্রস্তুত করবেন যেভাবে
চুলের গুণাগুণ ভালো হলেই যে আলাদা যত্নের প্রয়োজন নেই-এমন ভাবা ভুল। বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে চুলের ওপর দিয়ে বড় ধকল যায়। তাই আগে থেকেই চুলকে প্রস্তুত করে রাখা জরুরি।
চুল কাটতে চাইলে বিয়ের অন্তত দুই মাস আগে কাটাই ভালো। সম্ভব না হলে এক মাস আগে কাটুন। এতে চুলের কাট চেহারার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পায়।
চুলে রং করাতে চাইলে অন্তত ২০ দিন সময় হাতে রেখে করুন। নতুন রং চেহারার সঙ্গে মানাতে কিছুটা সময় লাগে। রং পছন্দ না হলে বা সামান্য পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে এই সময়টুকু খুব কাজে আসে।

নিয়মিত তেল ও প্যাকের যত্ন
চুলে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন হালকা গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। আমন্ড, নারিকেল অরগান অয়েল চুল গভীরভাবে কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। তেল দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে এবং চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। চুলের প্যাক হিসেবে টকদই, পাকা কলা, মধু ও আমলা মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চুলে রং করা থাকলে আমলা ব্যবহার না করাই ভালো। এই প্যাক চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল নরম ও ঝলমলে রাখে।
চুলে সপ্তাহে তিন দিন তেল গরম করে ম্যাসাজ করুন। আমন্ড, নারকেল বা আরগান অয়েল চুল গভীরভাবে কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। তেল দিয়ে নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, চুলের বৃদ্ধি হয়। সপ্তাহে অন্তত ১/২ বার তেল ব্যবহার করুন।

চুল ধোয়ার সঠিক নিয়ম
শীতকালে অনেকেই চুলে গরম পানি ব্যবহার করেন। এতে চুলের আগা ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রথমে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন, এরপর হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন।
শ্যাম্পু করার পর সাদা ভিনেগার পুরো চুলে লাগিয়ে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উজ্জ্বলতা বাড়ে। প্রতিদিন চুল ধোয়া হলেও দিনের মাঝে ঘন ঘন চুল ধোয়া উচিত নয়। এতে স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে চুল শুষ্ক ও ফ্রিজি হয়ে যেতে পারে। সপ্তাহে ২-৩ দিন শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
জরুরি টিপস
চুলে ঘন ঘন হাইলাইট বা ব্লো ড্রাই করা থেকে বিরত থাকুন। পনিটেল বা টপনট বাঁধলেও খুব শক্ত করে বাঁধবেন না-এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয় এবং চুল ঝরে যেতে পারে। চুলসাজানোর সময় ভারী ক্লিপ, কাঁটা বা গয়না
ব্যবহারের আগে দেখে নিন, এতে চুলের ক্ষতি হচ্ছে কি না। হেয়ার জেল, ওয়াক্স, স্প্রে বা মুজের মতো প্রসাধনীও অতিরিক্ত ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এগুলোতে থাকা রাসায়নিক চুলের ক্ষতি করে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি
আরও পড়ুন:
বিয়ের দিনের মেকআপ প্রাকৃতিক উপায়ে তুলবেন কীভাবে
ফেলে দেওয়া চা-কফিতে চুলের যত্ন
এসএকেওয়াই/