শীতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক
লাইফস্টাইল ডেস্ক লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি: সংগৃহীত

শীত এলেই শরীর যেন একটু বেশিই যত্ন চায়। ঠান্ডা বাতাস, শুষ্কতা আর রোদ কমে যাওয়ার কারণে দুর্বলতা, ক্লান্তি কিংবা ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা দেয়। এই সময়টায় প্রকৃতি আমাদের হাতে তুলে দেয় এক চেনা কিন্তু উপকারী খাবার খেজুর। শুধু রোজা ভাঙার উপকরণ হিসেবেই নয়, শীতকালে খেজুর হতে পারে শক্তি, উষ্ণতা ও পুষ্টির প্রাকৃতিক ভাণ্ডার।

সামান্য কয়েকটি খেজুরেই লুকিয়ে আছে শরীর গরম রাখা থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অসাধারণ গুণ। শীতে নিয়মিত খেজুর খাওয়ার উপকারিতা জানলে অবাক হতেই হয়। চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক শীতকালে খেজুর খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়-

শীতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

  • শীতে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে খেজুর। একই সঙ্গে অলসতা দূর করে আপনাকে রাখে সতেজ ও সক্রিয়। জোগান দেয় ভরপুর পুষ্টির।

শীতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

  • পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার বা তামায় ভরপুর খেজুর। এই ৪ উপকরণ হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে। হাড় শক্ত করার পাশাপাশি ব্যথা ও হাড় সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

শীতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

  • শীতে তাপমাত্রা ওঠানামার কারণে অনেকেরই দৈহিক তাপমাত্রা কমে যায়। এক্ষেত্রে শরীর উষ্ণ রাখতে অর্থাৎ দৈহিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে খেজুর।

শীতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

  • খেজুরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ। ফলে শীতের দিনে খেজুর খেলে আপনি এনার্জি পাবেন। এমনকি শীতে এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করবে খেজুর। একই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তি, অবসন্ন ভাব দূর করে আপনাকে রাখবে চাঙ্গা।

শীতে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

  • খেজুরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। ফলে খেজুর খেলে হিমোগ্লোবিন সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে। এ ছাড়া ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর হজমশক্তি ভাল রাখে, অন্ত্রের সমস্যা দূর করে। জানলে অবাক হবেন, খেজুরের মধ্যে থাকে সলিউয়েবল ও নন-সলিউয়েবল, দু’ধরনের ফাইবার। যা অনেক সময় আপনাকে ক্ষিদামুক্ত রাখবে।

তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউট্রিশন, ইন্ডিয়া

জেএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।