কড়াইল বস্তিতে আগুন

‌‘রাতে কী খাবো, কোথায় যাবো জানি না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৬ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
প্রয়োজনীয় কিছু মালামাল নিয়ে কড়াইল বস্তি থেকে হেঁটে বনানীর দিকে যাচ্ছেন এক ভুক্তভোগী/ ছবি- জাগো নিউজ

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। তবে আগুন লাগার পরপরই যানজটের কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসতে না পারায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়েছে। আগুনে এরই মধ্যে হাজারও ঘর পুড়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

কথা হয় কড়াইল বস্তির বাসিন্দা রাফিয়া খাতুনের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, এখনো দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। মনে হচ্ছে পুরো বস্তি পুড়ে যাবে। তাই বহন করার মতো যেসব মালামাল ঘরে আছে সেগুলো নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি। রাতে কী খাবো এবং কোথায় যাবো নিজেও জানি না।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার পর কড়াইল বস্তি থেকে হেঁটে বনানীর দিকে যাচ্ছিলেন রাফিয়া খাতুন। তিনি এসব কথা বলেন। রাফিয়ার গ্রামের বাড়ি মমিনসিংহে।

আরও পড়ুন
ঘরে ৩ সন্তান রেখে কাজে যান বাবা-মা, ফিরে দেখেন 
টিভি-ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিস সরিয়ে নিচ্ছেন বস্তিবাসী 

রাফিয়া খাতুন বলেন, কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার প্রায় ৪০ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসে। তার আগেই হাজারও (অনেক) ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগ ছিল না। এখনো দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। কিন্তু আগুনের কোনো কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে পুরো বস্তি পুড়ে যাবে।

jagonews24.com

তিনি আরও বলেন, ঘরের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু খাট-পালংসহ অন্য কোনো আসবাবপত্র বের করতে পারিনি। যেভাবে আগুন জ্বলছে মনে হয় কিছুক্ষণের মধ্যে আমার ঘর পুরে যাবে।

এর আগে, বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

এমএমএ/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।