প্রিন্সের মন্ত্র ‘হয় ধরো নয় মারো, মাঝে থেকো না’

ক্রীড়া প্রতিবেদক ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২২

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে পুরোপুরি বিপরীত অবস্থায় বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দল। স্বাগতিকরা যেখানে প্রথম ইনিংসে দাঁড় করেছে ৫২১ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ। সেখানে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথামের একার করা ২৫২ রানের অর্ধেকেই থেমে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।

আজ (সোমবার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনের ১১ ওভার আগে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে ডেকেছিল নিউজিল্যান্ড। এই ১১ ওভারের মধ্যে ৬.১ ওভারেই দলীয় ১১ রানে সাজঘরে ফিরে যান টপঅর্ডারের চার ব্যাটার। পরে তৃতীয় সেশনের প্রথম ওভারে দলীয় ২৭ রানের মাথায় পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন লিটন দাসও।

মাত্র রানে ২৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে ৬০ রান যোগ করে দলকে বড় লজ্জার হাত থেকে উদ্ধার করেন নুরুল হাসান সোহান ও ইয়াসির আলি রাব্বি। পুরো ইনিংসে শুধু এ দুজনই (সোহান ৪১, রাব্বি ৫৫) দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন।

দিনের খেলা শেষে সমস্যা উদ্ঘাটন করতে গিয়ে ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স বুঝতে পেরেছেন, ব্যাটাররা ডিফেন্স কিংবা অ্যাটাকের বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি। দ্বিধাদ্বন্দ্বে পরে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে। শেষ সেশনে ব্যাটিং করা সহজ ছিল প্রিন্সের মতে।

তিনি বলেছেন, ‘চা পানের বিরতির সময় আমরা বুঝতে পেরেছি এই উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো। শটস খেলতে পারলে এখানে রান পাওয়া যাবে। আউটফিল্ডও দারুণ। আমরা যদি আর কিছুক্ষণ থাকতে পারতাম, তাহলে হয়তো জুটি দাঁড়াতে পারতো।’

এসময় সোহানের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় টাইগারদের ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘সোহান ইতিবাচকভাবে খেলেছে। বোলারদের বিপক্ষে দারুণভাবে সামনের পায়ে খেলেছে। নিজের সামনের পা বলের পিচ থেকে সরিয়ে নিয়েছে এবং নিজের ওজনটা বলের ওপর রেখে খেলেছে।’

বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫৫ রান এসেছে মাত্রই তৃতীয় টেস্ট ও চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাট থেকে। তার ৯৫ রানের ইনিংসে ছিল সাতটি চারের মার। আউট হওয়ার আগপর্যন্ত দারুণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েই খেলেছেন তিনি।

ইয়াসিরের উদাহরণ দিয়ে ক্রাইস্টচার্চের উইকেটের মূল মন্ত্র জানিয়ে প্রিন্স বলেন, ‘মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছে ইয়াসির। মাউন্টে (প্রথম টেস্টে) দূর্ভাগ্যজনকভাবে লেগ সাইডে ধরা পড়েছে। সেই ম্যাচেও দারুণ খেলছিল এবং আজকেও নিজের খেলা মাঠে দিতে পেরেছে। ডিফেন্সে সে নিখুঁত ছিল এবং আক্রমণ করার সময়ও নিশ্চিত ছিল।’

দলের বাকিদেরও এই একই পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মতে এটি এমনই পিচ। আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বল ছাড়তে হবে। ডিফেন্সিভ শট কিংবা অ্যাটাকিং শটের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হবে। এখানে মূল মন্ত্রই হলো নিশ্চিত হওয়া, যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক না কেন।’

এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।