আলাদা স্টেডিয়াম পাচ্ছে যুব ও নারী ক্রিকেট দল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:১১ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ঘুরে ফিরে মিরপুরের সেই শেরে বাংলা আর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। খুববেশি হলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই খেলা হয়, হচ্ছে।

অথচ রাজশাহী, খুলনা বরিশাল ও বগুড়ার স্টেডিয়ামগুলোকে প্রায় ভুলতে বসেছে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট কর্মকর্তারা। ওই স্টেডিয়ামগুলোয় বিপিএলের আসর বসে না। অন্য কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয় না বললেই চলে। এমনকি ‘এ’ দল, এইচপি ও নারী ক্রিকেট ম্যাচও হয় কালে ভদ্রে। কী অবস্থা ওসব মাঠের?

বিপিএল কী কখনো ওসব শহরে হবে? বিসিবির ভাবনা কী?

এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির প্রধান মাহবুব আনাম অনেক কথার ভিড়ে জানিয়েছেন, তারা (বিসিবি) চেষ্টা করছেন ওসব মাঠের মানোন্নয়ন ও পরিচর্য্যার। এবং নানা কাজে ব্যবহার করার পরিকল্পনাও নাকি আছে তাদের।

রাজশাহী স্টেডিয়ামের ইনডোর কমপ্লেক্সটা নতুনকরে তৈরির পরিকল্পনা আছে বিসিবির। সেই মাঠ ও ইনডোর কমপ্লেক্সটা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য পুরোপুরি বরাদ্দের চিন্তা ভাবনাও নাকি আছে। এর বাইরে খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে নারী দলের অনুশীলনের জন্য বরাদ্দ করার কথাও ভাবা হচ্ছে।

‘আমি রাজশাহী ঘুরে এসেছি। রাজশাহীতে আমাদের সার্ভেয়ার গিয়েছে। রাজশাহী সার্ভে করে ড্রয়িংটা দেখা পর ইতিমধ্যে আমরা কাজে হাত দিয়েছি। সেখানে ইনডোর সুযোগ-সুবিধা পুনর্গঠন করা হচ্ছে। ওখানে আমরা সিলেটে এবং চট্টগ্রামে যে সুযোগ-সুবিধা করেছি, সেভাবে রাজশাহীতে করব। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। বর্ষার মধ্যেই রাজশাহী সুযোগ-সুবিধা আমরা প্রস্তুত করব। এটা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য সবসময়ের অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করব।’

মাহবুব যোগ করেন, ‘ঠিক একইভাবে খুলনাকে নারী ক্রিকেটারদের জন্য অনুশীলন সুযোগ-সুবিধা হিসেবে তৈরি করব। সার্ভেয়াররা রাজশাহী কাজ শেষ করার পর খুলনার কাজটা ধরবে। তৃতীয়ত আমরা বরিশালের কাজ ধরব। বরিশালের মাঠের উন্নয়ন করেছে এনএসসি। একইসঙ্গে মাঠের বাইরে অনুশীলনের যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেটা আমরা শুরু করব। এ তিনটা মাঠের কাজই আমরা এই সিজনে হাত দেব। আশা করছি আগামী বছরের মধ্যে এ তিনটা মাঠে তিনটা গ্রুপের অনুশীলনের জন্য তৈরি হয়ে যাবে।’

রাজশাহীতে বিপিএলসহ অন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন এখনই সম্ভব নয়। আরও কিছু প্রযোজনীয় ও আনুসাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা দরকার, তা জানিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘রাজশাহীতে যেটা দেখেছি, সেখানে মিডিয়া সেন্টার এবং প্রোডাকশন সুবিধার জায়গা নেই। যেহেতু এটা সুযোগ-সুবিধার (প্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট) অধীনে, আমি ওটা নিয়ে বলতে চাচ্ছি না। তবে আশাবাদী রাজশাহীতে হোটেল রয়েছে, আমরা দ্রুত যেটা চেষ্টা করব- অনূর্ধ্ব-১৯ ও 'এ' দলের খেলাগুলো রাজশাহীতে ফেরত নিতে। জানেন, রাজশাহী একসময় বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক খেলার আয়োজন করেছিল!’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।