খোলস ছেড়ে বেরুলো মোহামেডান, শেখ জামালকে লক্ষ্য দিল ২৯১ রানের
২৫০’ও পার হবে কি না- সংশয় দেখা দিয়েছিলো। তবে শেষ মুহূর্তে আরিফুল হক এবং ইংল্যান্ড থেকে আনা জ্যাক লিনটট ঝড় তুলে মোহামেডানের স্কোরকে নিয়ে গেলেন ২৯০ এর ঘরে। নুরুল হাসান সোহানের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২৯১ রানের বিশাল লক্ষ্য দিলো সাকিব আল হাসানের দল।
আগের ম্যাচেই মাশরাফি বিন মর্তুজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৮০ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিলো মতিঝিলের সাদাকালো শিবির। জবাবে মাত্র ৮.২ ওভারেই ১০ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ।
চারদিকে যখন মোহামেডানের এই পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনার ঝড়, যখন মুন্ডুপাত করা হচ্ছিল মোহামেডানের ক্রিকেট কর্মকর্তাদের, তখন তাদের ঘুরে দাঁড়ানোটা ছিল অনেক বড় প্রয়োজন। সে লক্ষ্যেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগেরদিন চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও, পরেরদিন বিকেএসপিতে নিয়ে গিয়ে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রনি তালুকদারকে খেলানো হলো আজ।
সাকিবরা দলে ফেরায় খোলস ছেড়েও বের হতে পারলো মোহামেডান। নেতৃত্বের ভারমুক্ত হয়ে ইমরুল কায়েস দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন। তার ৮৬ রানের ওপর ভর করেই বড় স্কোর গড়ার ভিত পায় সাদাকালো শিবির।
পুরো লিগে নিষ্প্রভ থাকা আরিফুল হকও আজ জ্বলে উঠতে পারলেন। শেষ মুহূর্তে ৩১ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মোহামেডানের ইনিংসকে ২৯০ এর ঘরে নিয়ে যান তিনি। ৪টি ছক্কার মার মারেন আরিফুল। জ্যাক লিনটট ১০ বলে অপরাজিত থাকেন ২৪ রান করে। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কাও মারেন তিনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নামতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের জুটিটাই ছিল ইতিবাচক। ৭৯ রানের এই জুটিই মোহামেডানকে অনেক দূর এগিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। ৪৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন রনি তালুকদার। তবে সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি। দু’জনই আউট হয়েছেন ৫ রান করে। মিরাজ নামেন তিন নম্বরে এবং সাকিব নামেন ৪ নম্বরে।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আজ ভালো ব্যাটিং করেছেন। ৫১ বল খেলে ৪৮ রান করেন তিনি। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ২৯ বলে করেন ২২ রান। সৌম্য সরকার যথারীতি ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন। ১২ বলে ৮ রান করেন। ২৪৫ রানের মাথায় অঙ্কন আউট হওয়ার পর ১৯ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন আরিফুল এবং লিনটট।
আইএইচএস/