লিভারপুলকে টপকে নকআউটে বাসেল
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে যেতে হলে জয় ছাড়া আর বিকল্প ছিল না লিভারপুলের সামনে। কঠিন সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি ইপিএলের দলটি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাসেলের সঙ্গে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রেন্ডন রজার্সের দল। আর তাদেরকে পিছনে রেখে নকআউট পর্বে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গী হয়েছে সুইজারল্যান্ডের দলটি।
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো না হলেও বাসেলকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে ওঠার ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন লিভারপুল কোচ ব্রেন্ডন রজার্স। কিন্তু ম্যাচের ২৫ মিনিটেই তাঁর আত্মবিশ্বাসকে নাড়িয়ে দেন সুইস মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ান ফ্রেই। স্বদেশী মিডফিল্ডার লুকা জুফ্ফি-এর সঙ্গে একবার বল দেওয়া-নেওয়া করে ডি বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান ফ্রেই। ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া তাঁর ওই শট ঠেকানোর কোনও সুযোগই ছিল না লিভারপুল গোলকিপারের।
বিরতির পর ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে অ্যানফিল্ডের দলটি। বাসেলও পাল্টা আক্রমণে মাঝে মধ্যেই লিভারপুলের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। এরই মধ্যে ৬০ মিনিটে চরম ধাক্কাটা খায় অল রেডরা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার বেহরাং সাফারির মুখে হাত দিয়ে আঘাত করায় লাল কার্ড দেখেন লিভারপুলের পরিবর্ত স্ট্রাইকার লাজার মার্কোভিচ।
তবে একজন কম নিয়ে খেললেও লিভারপুল ধারাবাহিক আক্রমণ করে যেতে থাকে। ৮১ মিনিটে কাঙ্খিত গোলটিও পেয়ে যায় তারা। অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে রক্ষণ প্রাচীরের ওপর দিয়ে বল জালে পাঠান লিভারপুল অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড। জেরার্ডের নৈপুণ্যে বাকি সময়ের লড়াইটা দারুণ জমে ওঠে। নাটকীয় জয়ের আশায় বুক বাঁধেন লিভারপুল সমর্থকরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অন্যদিকে, ড্র করেও ম্যাচ শেষে উল্লাসে ফেটে পড়ে বাসেলের খেলোয়াড়-কোচ-সমর্থকরা। এই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে তৃতীয় হয়ে এখন ইউরোপা লিগ খেলতে হবে লিভারপুলকে।