রাবি ছাত্রলীগ

মধ্যরাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০৩:২৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের নেতাকর্মীরা।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাত দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসে মীমাংসা করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৩২২ নম্বর কক্ষ থেকে বিবেক নামের এক ছাত্রকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নামিয়ে দেন তাসকিফ আল তৌহিদ নামের আরেক ছাত্র। পরে সেই সিটে তার এক কর্মীকে তুলে দেন।

বিবেক নাট্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নবাব আব্দুল লতিফ হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের অনুসারী। অপরদিকে তৌহিদ আরবি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামীম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনের অনুসারী।

বিবেককে হল থেকে নামিয়ে দিলে শামীম তার কর্মীদের নিয়ে তৌহিদের কর্মীকে সিট থেকে নামিয়ে দেন। এরপর শামীম ও তার নেতাকর্মীরা হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের বিভিন্ন হলের অনুসারীরাও হলের সামনে জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দেন। এরপর দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান ও মুখোমুখি অবস্থান নেন। শোডাউনের সময় তাদের হাতে চাপাতি, ছুরি, লোহার রড, পাইপ, স্ট্যাম্প, বাঁশ, দেখা যায়।

এ সময় শামীমের অনুসারীরা হলের ভেতরে অবস্থান নেন এবং সভাপতি- সম্পাদকের অনুসারীরা হলের বাইরে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে অস্ত্রপাতি নিয়ে তারা হলের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে সভাপতি-সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম হোসেন বলেন, তৌহিদ হঠাৎ করে গতরাতে ৩২২ নম্বর রুম থেকে আমার কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দেন। যাকে নামিয়ে দেন তিনি হলের আবাসিক ছাত্র এবং দীর্ঘদিন ধরে আছেন। আর যাকে তুলেছিলেন তিনি হলে নতুন আর অনাবাসিক ছাত্র। আমি ভালো করে তাকে চিনিও না। তারা আমার কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তাই, আমরা প্রতিবাদ করেছি।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, কালকের ঘটনায় ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। বিষয়টি জানা মাত্রই সভাপতি ও আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। দ্রুত সমাধান করে দেই এবং দুই মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থল ছেড়ে নেতাকর্মীদের হলে ফিরে যাওয়ার নির্দেশও দেই। আমাদের নির্দেশে সবাই হলে ফিরে যান।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, রাতে নবাব আব্দুল লতিফ হলের একটা সিট নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। সাধারণ সম্পাদকসহ আমরা সেখানে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে।

মনির হোসেন মাহিন/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।