মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ২৩৬ গ্রামে উন্নীত করবে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ এএম, ০২ জুন ২০২৩

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশজ উৎপাদিত দুধের দৈনিক মাথাপিছু প্রাপ্যতা ২৩৬ গ্রামে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমরা গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগির টেকসই জাত উন্নয়ন এবং রোগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্মার্ট লাইভস্টক খাত গঠন ও উৎপাদন দ্বিগুণ করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সরকারের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় মাংস ও ডিম উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং দুধ উৎপাদনে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে। কোরবানির পশুর বাজার স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে, দেশীয় উৎস থেকে কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে। ‘শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর পাশেই ডাক্তার’ স্লোগান সামনে রেখে খামারির দোরগোড়ায় জরুরি ভেটেরিনারি চিকিৎসাসেবা দিতে ৩৬০টি মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্য হলো- দেশজ উৎপাদিত দুধের দৈনিক মাথাপিছু প্রাপ্যতা ২৩৬ গ্রাম এ উন্নীত করা, গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ৪৬ লাখ মাত্রা সিমেন উৎপাদন করে দেশব্যাপী ৪২ লাখ গাভি বা বকনাকে কৃত্রিম প্রজনন করানো, সরকারি পোল্ট্রি খামারে ৪১ লাখ ৫০ হাজার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন ও ভর্তুকি মূল্যে বিতরণ করা।

তিনি জানান, প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন, মৎস্যচাষিদের মধ্যে দেশীয় মাছের পোনা বিতরণ, ভ্রাম্যমাণ মৎস্য ক্লিনিকের মাধ্যমে খামারি পর্যায়ে প্রযুক্তিগত সেবা প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণ, কৌলিতাত্ত্বিক গবেষণার মাধ্যমে মাছের জাত উন্নয়ন, মলেকুলার বায়োলজি ব্যবহার করে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ মাছের ভ্যাকসিন উদ্ভাবন, ন্যানো টেকনোলজি ব্যবহার করে হ্যাচারি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ আধুনিকায়নের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়, বদ্ধ জলাশয় ও সম্প্রসারিত সামুদ্রিক জলাশয়ের উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয়, বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানে আছে। পাশাপাশি, বিশেষ সামুদ্রিক ও উপকূলীয় ক্রাস্টাশিয়ান্স ও ফিনফিস উৎপাদনে বাংলাদশ যথাক্রমে অষ্টম ও এগারোতম স্থান অধিকার করেছে। এছাড়া বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম; তেলাপিয়া উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ এবং এশিয়ার মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে।

আইএইচআর/এমকেআর/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।