সুন্দরবনের গল্পের সিনেমা নিয়ে আসছেন শ্বেতা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
শ্বেতা ত্রিপাঠি

নীরজ ঘেওয়ানের ‘মাসান’ দিয়ে এক দশক আগে পরিচিতি পাওয়া অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি এখন বলিউডের ব্যস্ততম মুখ। ‘মির্জাপুর’, ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’, ‘মেড ইন হেভেন’ থেকে ‘কালকূট’-বিভিন্ন সিরিজে অভিনয় করে তিনি নজর কেড়েছেন। এর মধ্যেই প্রযোজক হিসেবে যাত্রা শুরু করেন ‘মুঝে জান না কহো মেরি জান’ চলচ্চিত্রে। এবার তার প্রযোজনা সংস্থা বান্দরফুল ফিল্মস নির্মাণ করতে যাচ্ছে নতুন ছবি ‘নাভা’।

আকাশ মাহিমির চিত্রনাট্যে নির্মিত হতে যাওয়া ‘নাভা’র গল্প আবর্তিত হয়েছে সুন্দরবনের জলাভূমিকে কেন্দ্র করে। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র তারা-যিনি বহু বছর পর ফিরে আসেন নিজের পূর্বপুরুষের ভিটেতে। আর ফিরেই জড়িয়ে পড়েন বহু প্রজন্মজুড়ে চলা রহস্য, নদী দেবতার উপাখ্যান, পারিবারিক অতীত ও লোকমিথ্যে ভরা এক ধাঁধায়।

লোককথা ও হররের সমন্বয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা দিতে চান শ্বেতা। তার ভাষায়, “আমি বৈচিত্র্যময় গল্পে বিশ্বাস করি। আগের ছবিটি ছিল একেবারে আলাদা আবেগের গল্প, এবার ঢুকেছি লোককথায় বোনা হররের জগতে। সুন্দরবন এখানে শুধু পটভূমি নয়-এটাই ছবির অন্যতম প্রধান চরিত্র, যা যেমন রক্ষা করে তেমন ভয়ও দেখায়।”

চিত্রনাট্য শোনার পরই ছবিটি প্রযোজনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন-জানালেন শ্বেতা। তার মতে, প্রযোজক হিসেবে এমন গল্পই বেছে নিতে চান যা দর্শককে ভিতর পর্যন্ত নাড়িয়ে দেবে-যার রেশ দীর্ঘদিন রয়ে যাবে মনে।

‘নাভা’র মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ প্রযোজক হিসেবে পথচলার ঘোষণা দিলেও এর আগে একটি নিরীক্ষাধর্মী প্রকল্প প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। শ্বেতার ভাষায়, সেটি ছিল শিক্ষাগ্রহণের সময়, আর এখন থেকে নিয়মিত প্রযোজনা করতে চান তিনি।

আরও পড়ুন:
ধর্মেন্দ্রর অগাধ সম্পত্তি রেখে যা চাইলেন তার মেয়ে অহনা 
দুবাইয়ে ঋতুপর্ণার নাচ, সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষের ঝড় 

ভারতীয় মাটির গল্প, চরিত্রনির্ভর আখ্যান এবং প্রচলিত ধারার বাইরে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা দাঁড় করানোই তার লক্ষ্য। শ্বেতা বলেন, “আমি চাই গল্প এমন হোক, যা আমার হৃদয় ছুঁয়ে যায়-আর সোজা গিয়ে পৌঁছায় দর্শকের হৃদয়ে। শুধু ভারত নয়, ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষও যেন অনুভব করতে পারে এই গল্পগুলো।”

এমএমএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।