ক্যাসিনোতে কষ্টিপাথর ছুঁয়ে শুরু হতো খেলা!
দরজায় লেখা রয়েছে ‘রেস্ট্রিক্টেড এরিয়া’ (সংরক্ষিত এলাকা)। ভেতরে উঁকি মারতেই দেখা গেল, এক কোণায় এক টুকরা সাপের মাথা ও কষ্টিপাথর।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানালেন, প্রতিদিন আয়োজন করে সাপের মাথায় কষ্টিপাথর ছুঁয়ে তবেই জুয়া খেলা শুরু হতো বলে এক জুয়ারি জানিয়েছেন! জুয়ারিদের আকৃষ্ট করতে ও হারজিত নির্ধারণে নাকি এসব কাজে দেয় বলে তিনি জানিয়েছেন।

একটু সামনে এগিয়ে যেতেই একটি ভিআইপি কক্ষ। কক্ষের ভেতর বড় চেয়ারটিতে বাঘের মাথার ছবির একটি তোয়ালে দেয়া। একটু কাছে যেতেই দেখা গেল তার ওপর হরিণের চামড়ার টুকরো বিছানো।
র্যাবের অভিযানের খবর পেয়ে অনেকেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বেরসিক র্যাব সদস্যরা ক্লাবের আশপাশে তন্নতন্ন করে খুঁজে তাদের আটক করেন।
রাত ১১টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, র্যাব সদস্যরা ক্লাবে অভিযানকালে স্টাফসহ কয়েক ডজন মানুষকে আটক করেন। তারা সকলেই ক্ষমা চেয়ে ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন।

র্যাবের এক কর্মকর্তা বলছিলেন, অন্যান্য ক্যাসিনোর চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ক্যাসিনোটা একটু ব্যতিক্রম। এটি দেখলে মনে হয় যেন কোনো হিন্দুধর্মীয় ব্যক্তি ক্যাসিনো চালায়। কেমন যেন গা ছমছম পরিবেশ।
অভিযানে র্যাব সদস্যরা নগদ তিন লাখ ৫৪ হাজার টাকা, মদের বোতল, কষ্টিপাথরের মূর্তি, খেলনা পিস্তল ও পাসপোর্ট উদ্ধার করে।
এমইউ/বিএ