সেই সিনেমা হলে এখন সানাই বাজে, বসে বিয়ের আসর

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
মধুবন সিনেপ্লেক্সে এখন এখন সানাই বাজে, বসে বিয়ের আসর

উত্তরাঞ্চলের প্রথম সিনেপ্লেক্স ‘মধুবন’। ২০২১ সালে আধুনিকভাবে সাজিয়ে নতুন রূপে চালু হয়েছিল এটি। কিন্তু দেশের সিনেমা সঙ্কট, কমে যাওয়া দর্শক আর বাড়তে থাকা ব্যয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে হলটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

সেই সিনেপ্লেক্সে এখন আর সিনেমার দর্শকের ভিড় নয়, জমছে বিয়েবাড়ির লোকজনের মেলা। বাজছে বিয়ের সানাই! বর-কনে কবুল বলে শুরু করছে নতুন জীবন। ঠিক তাই। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সিনেমার অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই সিনেপ্লেক্স এখন ব্যবহার হচ্ছে কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে।

আরও পড়ুন
রুবাবা দৌলাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট ডিলিট করলেন অভিনেতা
‘হাওয়া’র পর আবারও একসঙ্গে চঞ্চল-তুষি, আছেন সিয়ামও

একসময় যেখানে দর্শক ভিড় জমাতেন নতুন ছবির টিকিট কাটতে, সেখানে এখন বিয়ের সাজসজ্জা, আলো ঝলমলে মঞ্চ আর ভোজের আয়োজন। সিনেমা না চলায় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই বিকল্প ব্যবহার শুরু করেছে প্রেক্ষাগৃহটির।

মধুবন সিনেপ্লেক্সের কর্ণধার রোকনুজ্জামান ইউনূস গণমাধ্যমে জানান, ভালো মানের সিনেমা না আসায় লোকসান গুনতে গুনতে বন্ধ করে দিতে হয়েছে হলটি। তার ভাষায়, ‘সিনেমা না থাকলে দর্শক আসবে কীভাবে? নিয়মিত খরচ মেটানোই কঠিন হয়ে পড়েছিল।’

রোকনুজ্জামানের ছেলে এস এম ইউনূস বলেন, ‘আমাদের এখানে তো স্টার সিনেপ্লেক্সের মতো সুযোগ-সুবিধা নেই। প্রতি মাসে বিশাল খরচ হয়, কিন্তু আয় নেই বললেই চলে। বন্ধের আগে তিন মাসে প্রায় ৯ লাখ টাকার খরচ হয়েছে। এক টাকাও তুলতে পারিনি।’

তিনি আরও জানান, এখন সাময়িকভাবে খরচ কিছুটা তুলতে হলের আউটডোর অংশটি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য। তবে মধুবনকে পুরোপুরি কমিউনিটি সেন্টার বানানোর ইচ্ছে নেই। নির্বাচনের পর নতুন সরকার এলে সরকারি অনুদান ও সাহায্য নিয়ে আবারও সিনেমা ব্যবসা চালু করার পরিকল্পনা আছে।

এলআইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।