মিসরের সিনেমার প্রধান বাজার সৌদি আরব

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
মিসরের বাহবেক সিনেমার পোস্টার

মিসরের চলচ্চিত্রশিল্পের সাম্প্রতিক সাফল্য ইতোমধ্যেই আলোচনায়। বিশেষ করে বিদেশি বাজারে খুব ভালো করছেন দেশটির সিনেমা। কায়রো ইন্ডাস্ট্রি ডেজ চলাকালে কায়রো ফিল্ম কানেকশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মিসরীয় সিনেমা রপ্তানির প্রধান বাজার হয়ে ওঠেছে এখন সৌদি আরব।

আরব বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও প্রভাবশালী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির দেশ মিসর। দীর্ঘ দশকজুড়ে তাদের সিনেমা কখনো সফল, কখনো আবার পড়েছে মন্দায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের বাজারের তুলনায় বিদেশি বাজারে আয় বেড়েছে বহু গুণ।

২০২১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মিসরের শীর্ষ ১০ রপ্তানি চলচ্চিত্রের মধ্যে ৯টির সবচেয়ে বড় আয় এসেছে সৌদি আরব থেকে। সৌদির সর্বকালের শীর্ষ ৬৫ ছবির মধ্যে ২৭ শতাংশই মিসরীয়।

আরও পড়ুন
ভূমিকম্পে মারা গেছেন কুরুলুস উসমানের অভিনেতাসহ যেসব তারকা
এবার আসছে আমেরিকান স্কুইড গেম

রোমান্টিক-কমেডি ‌‘বাহেবেক’ মিসরে আয় করেছিল ২.৮ মিলিয়ন ডলার। অথচ ছবিটি বিদেশে আয় করে ২২.৯ মিলিয়ন ডলার। যার বৃহৎ অংশ সৌদিতে। ‘সন্স অব রিজক ৩: নকআউট’ ছবিটি দেশে আয় করেছিল ৬.১ মিলিয়ন ডলার। আর বিদেশে এর আয় ২২.৩ মিলিয়নেরও বেশি। ‘আ স্ট্যান্ড ওয়ার্দি অব মেন’ ছবি দেশে ১.৭ মিলিয়ন ও বিদেশে ১৮.৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

২০২৪ সালে সৌদি বাজারে ৩৩টি মিসরীয় ছবি মুক্তি পায় এবং মোট আয় করে ৫৩ মিলিয়ন ডলার। মিসরের নিজস্ব বাজারের মোট আয়ের (২৩.৫ মিলিয়ন ডলার) দ্বিগুণেরও বেশি এই পরিসংখ্যান।

মিসর-সৌদি যৌথ প্রযোজনার ছবিগুলো সৌদিতে বিশেষ কর সুবিধাও পায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হানি খলিফার থ্রিলার ‘ফ্লাইট ৪০৪’। এটি এবারের অস্কারের জন্য মিসর থেকে জমা পড়েছে।

উচ্চ বাজেটের কৌতুক ও অ্যাকশন দীর্ঘদিন ধরে দাপট দেখালেও এখন কম বাজেটের ছবিও সফল হচ্ছে মিসরে। উদাহরণ হিসেবে ওমর এল মুহানদেসের মাঝারি বাজেটের কৌতুক গল্পের ‘সিকো সিকো’ ছবির কথা বলা যায়। এই সিনেমাটি দেশে আয় করেছে প্রায় ৪ মিলিয়ন ডলার এবং সৌদিতে আরও ৪.২ মিলিয়ন আয় করে মিসরের ইতিহাসের দ্বিতীয় সফলতম ছবি হিসেবে নাম লিখিয়েছে।

বিশ্ব বাজারে মিসরের সিনেমা পৌঁছে দিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিনার্জি ছিল প্রধান পরিবেশক। তবে ২০২৫ সালে এগিয়ে গেছে মিসর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস। এই বছরে সিনার্জির সাবেক কর্মকর্তা আহমেদ বদাওয়ি ফিল্ম স্কয়ার নামে নতুন সংস্থা চালু করেছেন। এটি দ্রুত বাজার বাড়াচ্ছে।

হলিউডসহ বিদেশি ছবি বিতরণে শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড মোশন পিকচার্স। সৌদি আরবের আরব রেডিও অ্যান্ড টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউভিএফ এখন মধ্য বাজেটের মিসরীয় ছবি অর্থায়ন ও আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তির ওপর জোর দিচ্ছে।

ভ্যারাইটির এক প্রতিবেদনে কায়রো ফিল্ম কানেকশনের বিগত ১০ আসরের সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে। পিচিং, পরামর্শ, অর্থসহায়তা ও বিভিন্ন পুরস্কারের মাধ্যমে তারা বহু আরব নির্মাতাকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে।

এলআইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।