বীরদের উৎসর্গ করে জুলাইয়ের গল্প শোনালেন সায়ান
‘সবাইকে আমি জুলাইয়ের ভালোবাসা জানাই। আমরা সবাই, আমরা সাধারণ মানুষ যারা আমার বাংলাদেশের মালিক। জুলাই সবচেয়ে বেশি জনতার। আপনার, আমার ও আমাদের। আজকে আনন্দের দিন। আজকে মন খারাপ হচ্ছিল কিছুক্ষণ পর পর। কেন মন খারাপ লাগছিল জানেন? আমরা যে স্বাধীন বাংলাদেশে গান গাইছি, আনন্দ করছি সেই আনন্দ তো ততটা আসলে সৈকতের ঘরে, আনাসের ঘরে, আবু সাইদের ঘরে, নাইমা সুলতানা-নাসিমার ঘরে, বীর উপাধি পেলেন যারা তাদের ঘরে নাই’- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ‘৩৬ জুলাই উদযাপন’ অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান এমন মন্তব্যই করেছেন।
তিনি গান গাইতে মঞ্চে ওঠে আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে অনুমতি নিয়ে এই মানুষগুলোকে স্মরণ করে এবং বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করে জুলাইরে গানটি গাইব। ‘আমি জুলাইয়ের গল্প বলবো’- এ গান, এই গল্প এই দেশের মানুষকে উৎসর্গ করেছি। যারা আহত তাদের নাম আমরা নেই না। যতটা শদীদের নাম নেই। আমি সকল শহীদ যোদ্ধার, আহত বীর যোদ্ধার, আমাদের মেয়েদের, সকল মানুষকে যারা জীবিত, যারা লড়াইয়ে বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশে মানুষের শক্তিতে বিশ্বাস করেন আমি সবাইকে এই গান উৎসর্গ করেছি।’
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৩৬ জুলাই উদযাপন অনুষ্ঠান সকাল থেকে শুরু হলেও বৃষ্টির কারণে উপস্থিতি কম ছিল। বৃষ্টি কমার পর দুপুর আড়াইটার পর থেকেই বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি।
৫ আগস্ট নতুন এক বিজয়কে ধারণ করে শিশু নারী পুরুষ সহ সব শ্রেণির মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েছে।
এমআই/এলআইএ/জেআইএম