যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে হতাশ জোলি

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক খুব একটা ভালো না থাকায় বন্ধ হয়েছে ‘জিমি কিমেল লাইভ!’ অনুষ্ঠান। এটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শোবিজে তোলপাড় চলছে। স্পেনের সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে নতুন সিনেমা ‘কুত্যুর’র প্রিমিয়ারে হাজির হয়েছেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। অভিনেত্রীকে পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা অনুমান করেই প্রশ্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে। এ প্রশ্ন জোলিও এড়িয়ে যাননি। তিনি উত্তর দিতে গিয়ে নিজের দেশ নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।

‘আমি এখন আর নিজের দেশকে চিনতে পারি না’-গত রোববার রাতে সান সেবাস্তিয়ান উৎসবে সংবাদ সম্মেলনে জোলি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতার ওপর হুমকির প্রসঙ্গ তুলে ধরে এ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘যেকোনো কিছু, যা মানুষের ব্যক্তিগত প্রকাশ ও স্বাধীনতাকে সীমিত করে বা বিভাজন সৃষ্টি করে, সেটি ভয়ংকরভাবে বিপজ্জনক।’

জোলির কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘একজন শিল্পী ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আপনার সবচেয়ে বড় ভয় কী?’ জবাবে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এটি খুব কঠিন প্রশ্ন। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি, কিন্তু এখন আমি আমার দেশকে চিনতে পারছি না। আমি সব সময় আন্তর্জাতিকভাবে থেকেছি—আমার পরিবার, বন্ধু, আমার জীবন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছে। এখন সময় এতটাই গুরুতর যে কোনো কিছুই না ভেবে বলা উচিত নয়। আমরা সবাই একসঙ্গে এক কঠিন সময় পার করছি। মেপে কথা বলতে হবে। কারণ সময়টা কেবল মার্কিনদের নয়, আমাদের সবার জন্যই অন্ধকারাচ্ছন্ন।

আরও পড়ুন:

বয়স বেড়ে যাওয়ায় যা বললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
নিজের কষ্টগুলোকেও সিনেমায় কাজে লাগালেন জোলি

কুত্যুর সিনেমার কাহিনি এক মার্কিন নারী চলচ্চিত্র পরিচালকের, যিনি প্যারিসের ফ্যাশন দুনিয়ায় নিজের জায়গা খুঁজে নেওয়ার লড়াই করছেন। এর মধ্যেই তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সিনেমাটি বানিয়েছেন ফরাসি নির্মাতা অ্যালিস ভিনোকু। ৭ সেপ্টেম্বর টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে এ সিনেমার প্রথম প্রিমিয়ার হয়েছে।

এমএমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।