ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো স্পেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
স্পেনের সংসদে সদস্যদের ভোটে এ প্রস্তাব পাশ/ ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদে ইসরায়েলের ওপর সব ধরনের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে স্পেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) স্পেনের সংসদে সদস্যদের ভোটে এ প্রস্তাব পাসের পর তা আইনে পরিণত করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে আনাদোলু এজেন্সি।

প্রতিবেদনের তথ্য মতে, স্পেনে এই আইনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের প্রতিরক্ষা ও দ্বিপ্রয়োগ প্রযুক্তির রপ্তানি ও আমদানি বন্ধ করা হবে। এছাড়া যে কোনো জাহাজ বা বিমান, যা জ্বালানি বা সামরিক ব্যবহারের সম্ভাব্য সামগ্রী বহন করছে, তা স্পেনের বন্দর ও আকাশসীমায় প্রবেশ করতে পারবে না।

এছাড়া আরও কয়েকটি বিষয়ে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্পেন সরকার, যার মধ্যে রয়েছে অধিকৃত ইসরায়েলি বসতি থেকে পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করা। অন্যদিকে ফিলিস্তিনকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে।

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের সংসদে এ প্রস্তাব পাসের ঘটনা ঐতিহাসিক মুহূর্ত বলে উল্লেখ করে কট্টর-বামপন্থি পোদেমোস দলের নেতা ইওনে বেলারা বলেছেন, সরকারকে বিদ্যমান চুক্তি বাতিল ও ইসরায়েলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সংসদীয় বিতর্কে স্পেনের অর্থমন্ত্রী কার্লোস কুয়ের্পো বলেন, এটি আন্তর্জাতিক স্তরে দৃঢ় ও নতুন ধরনের পদক্ষেপ।

এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্গারিটা রোব্লেস বলেন, এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ধাপ, যা ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শুরু হয়। স্পেন সেই দিন থেকেই ইসরায়েলের কাছে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ করেছে।

ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার আহত হয়েছেন বলে তথ্য প্রকাশ করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইউনিসেফের তথ্য মতে, এ যুদ্ধে ২০ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি শিশু; যাদের মধ্যে অন্তত ২১ হাজার শিশু স্থায়ীভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

কেএম

 

 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।