হাহাকার নিয়ে রাজপথে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা
সময় বয়ে যায়, কিন্তু কিছু ক্ষত থেকে যায় গভীরভাবে, নীরবতায়। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির সেই রক্তাক্ত পিলখানা ট্র্যাজেডি শুধু একটা বিদ্রোহ ছিল না, ছিল বহু পরিবারের ভাগ্যবদলের কঠিন অধ্যায়। ১৫ বছর পর, সেই ইতিহাসের ধুলোপড়া পাতায় আবারও আলো পড়ে গেল, যখন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের একটি অংশ পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে গেল রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে। এক অদ্ভুত নীরবতা আর প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে যেন আবারও প্রশ্ন তুলে দিল তারা-বিচার কি সত্যিই পূর্ণ হয়েছে? ছবি: মাহবুব আলম
-
২০০৯ সালে পিলখানায় ঘটে যাওয়া বিডিআর বিদ্রোহ ছিল বাংলাদেশ ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ অধ্যায়। নিহত হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা। এরপর আদালতের রায়ে অনেককে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রায়ের ছায়ায় রয়ে গেছে একদল চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য।
-
চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করাসহ ৩ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
-
দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
-
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি হয়ে শাহবাগে এসে অবস্থান নেন তারা।
-
চোখেমুখে ক্ষোভ, হাতে ব্যানার; তাদের দাবি একটাই ‘পুনর্বিচার এবং ন্যায্যতা’।
-
কারোর মুখে অস্পষ্ট শ্লোগান, কারোর চোখেমুখে দীর্ঘ বছরের হতাশা আর সামাজিক বঞ্চনার হাহাকার।
-
তাদের পথ আটকানোর চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু প্রতিরোধকে পাশ কাটিয়ে শাহবাগ মোড়ে বসে পড়ে বিক্ষোভকারীরা।
-
পুলিশ আশেপাশে অবস্থান নিয়ে সতর্ক, তবে এখন পর্যন্ত কোনো সহিংসতা ছড়ায়নি।
-
অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটলেও জনসাধারণের চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে, এবং শাহবাগ চত্বরজুড়ে বাড়ছে যানজট।