আবাসন খাতে নিবন্ধন ফি হ্রাস যুগান্তকারী প্রস্তাব : রিহ্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ১৩ জুন ২০১৯

নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেটে আবাসন খাতে নিবন্ধন ফি এবং স্ট্যাম্প ফি হ্রাস করার যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তাকে যুগান্তকারী প্রস্তাব হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

বৃহস্পতিবার নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের পর রিহ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিয়াকত আলী ভূইয়ার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন অভিমত দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় সরকার আবাসন খাতে নিবন্ধন ফি এবং স্ট্যাম্প ফি হ্রাস করার যে প্রস্তাব করেছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সরকারের এই যুগান্তকারী প্রস্তাবের ফলে আবাসন খাতে বিদ্যমান স্থবিরতা বহুলাংশে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে বিশ্বাস করে রিহ্যাব।’

বাজেটে সরকার আবাসন খাতে যে বিনিয়োগ সুবিধার প্রস্তাব করেছে তা এই খাতে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে অভিমত দেয়া হয়েছে।

এতে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা যাতে ভাড়ার টাকায় মাথা গোঁজার একটা ঠিকানা খুঁজে পায় সেজন্য স্বল্প সুদের দীর্ঘমেয়াদি একটি তহবিল গঠনসহ রিহ্যাবের অন্য দাবিগুলো আগামীতে সরকার বাস্তবায়ন করবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন হয়। এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ৪৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।

বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। বরাবরের মতো বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট। যদিও গত সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে অনেক বাজেট প্রণয়নে পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।

শুরুতে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিকেল ৪টার পর অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন সম্ভবপর না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন।

বেলা ৪টা ৪১ মিনিটে ‘প্রস্তাবিত বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হলো’ মর্মে ঘোষণা দেন স্পিকার।

প্রস্তাবিত বাজেট পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।

এর আগে মন্ত্রিসভা ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়। বাজেট ঘোষণার আগে দুপুর ১টার একটু পর জাতীয় সংসদ ভবনে বিশেষ বৈঠকে মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর মূল বাজেটের আকার দাঁড়ায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। তবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, রাজস্ব আদায় করতে না পারা এবং উন্নয়ন প্রকল্পে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থ খরচ করতে না পারায় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয় চার লাখ ৪২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগামী বাজেটের আকার সংশোধিত বাজেট থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা বেশি।

এমএএস/জেএইচ/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।