‘দেলুপি’ সিনেমাটি যেসব প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে
তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দেলুপি’ খুলনায় মুক্তি পেয়েছে ৭ নভেম্বর। এরপর আজ (১৪ নভেম্বর) থেকে সারাদেশের ছয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
‘দেলুপি’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশন। প্রথম সপ্তাহে যেসব প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি তা হলো- ঢাকায় স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি মল), লায়ন সিনেমাস (কেরানীগঞ্জ), সিনেস্কোপ (নারায়ণগঞ্জ), রাজ তিলক সিনেমা হল (রাজশাহী), গ্র্যান্ড রিভারভিউ সিনেপ্লেক্স (রাজশাহী) ও মম ইন মুভি থিয়েটার (বগুড়া)।
‘দেলুপি’ সিনেমায় যারা অভিনয় করেছেন তারা সকলেই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো জাকির হোসেনসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন:
খুলনায় মুক্তি পাচ্ছে ‘দেলুপি’, সারাদেশে কেন নয়
‘দেলুপি’র গানে শোনা গেল মান্নার কণ্ঠ
আসছে সাইক্লোন শেল্টারে শুরু হওয়া সিনেমাটি
সিনেমার নামকরণ নিয়ে তাওকীর জানান, ‘দেলুপি’ নামটি এসেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ন থেকে। সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাল্পনিক বাস্তবতা হিসেবে দেলুপির গল্প লেখা। যা শুধু এই অঞ্চলের নয়; বরং একই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারবে। সিনেমার শুটিং থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পী-সবই স্থানীয়। গল্পেই লুকিয়ে আছে সিনেমার শক্তি।
তাওকীর বলেন, ‘আমি সব সময়ই বাস্তব মানুষের গল্প বলতে চেয়েছি। “দেলুপি” মূলত সে চেষ্টারই আরেক ধাপ। এই সিনেমার প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি ফ্রেম আসলে মানুষ ও তাদের জীবনের অংশ। আমার কাছে সব সময় বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল সত্যিকার অনুভূতি তুলে ধরা।’
এর বাইরে ‘অদ-ভূত’ নামে আরেকটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন তাওকীর। ছবিটির প্রি–প্রোডাকশনের কাজ চলছে। এটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছে।
তাওকীরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা রাজশাহীতে। স্কুলে পড়াকালে ২০০৯ সালে প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘কঙ্কপুরাণ’ নির্মাণ করেন। এরপর নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘গ্যাস বেলুন’, ‘লামা’, ‘দ্য ইফনিট’, ‘গোল ও যোগ’, ‘সিনেমার নাম খুঁজছি’, ‘আয়না ও সর্বোচ্চ গতিসীমা’।
সিনেমা নিয়ে দিল্লির এশিয়ান স্কুল অব মিডিয়া স্টাডিজ থেকে পড়ালেখা করেছেন তাওকীর।
এমআই/এমএমএফ/এমএস