চাষ

পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে মসলা জাতীয় ফসল আলুবোখারা।

পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে বাণিজ্যিকভাবে কাজুবাদাম চাষ শুরুর ৩ বছরের মধ্যে গাছে গাছে ফলন আসা শুরু হয়েছে।

শখের বসে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার কৃষক মো. আব্দুর রব। আব্দুর রবের সাফল্য দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

চাঁদপুর সদরের শাহতলী গ্রামে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে পরিত্যক্ত ইটভাটায় ‘ফ্রুটস ভ্যালি এগ্রো’ নামে একটি বাগান গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন।

পরীক্ষামূলকভাবে বাড়ির আঙিনায় প্রায় ২ শতাংশ জমিতে আঙুর চাষে সফল রাজবাড়ীর সরোয়ার হোসেন বাবু।

রাজশাহীতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে বাড়ছে আম চাষ। এসব আম পাঠানো হচ্ছে বিদেশে। বিশেষ করে ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে।

দিনাজপুরে বেদানা, বোম্বাই, মাদ্রাজি, কাঁঠালি, চায়না থ্রি জাতের লিচুর সঙ্গে নতুন করে চাষ হচ্ছে গোলাপি ও এলাচি জাতের লিচু। 

চাঁদপুরের প্রবাস ফেরত উদ্যোক্তা মো. মনির হোসেন গাজী ঘাস বিক্রি করে মাসে অন্তত ৩ লাখ টাকা উপার্জন করছেন।

বাণিজ্যিকভাবে জাম চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন বরগুনার সদর উপজেলার কড়ইতলা গ্রামের কৃষক আহসান হাবিব। এ বছর জাম বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি।

শখের বশে বারোমাসি লেবুচাষে সফল গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়াখোলা গ্রামের সোহান। 

আগাম ও উচ্চ ফলনশীল জাতের টমেটো চাষে বাজিমাত করেছেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের দক্ষিণবাগ গ্রামের কৃষক ফিরোজ মিয়া।

নগদ অর্থসহ বিশেষ সুবিধা পাওয়ায় স্বাস্থ্য ও জমির ক্ষতি জেনেও তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন রাজবাড়ীর দরিদ্র কৃষকরা।

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের পিঁপড়াগাছি গ্রামে বারি-১১ জাতের আম চাষে অবিশ্বাস্য সাফল্য পেয়েছেন নূর ইসলাম সদ্দার নামের এক নার্সারি শ্রমিক। তিনি ২৩ বছর ধরে নার্সারি কাজের সঙ্গে যুক্ত।

লাভজনক ও পুষ্টিসমৃদ্ধ ফসল ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের কৃষকরা। লাভজনক এ ফসলটি উপজেলার কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। 

কম ঝুঁকি, ব্যাপক চাহিদা ও বাজারে বাদামের ভালো দাম পাওয়ায় গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে নীলফামারীতে বেড়েছে বাদামের চাষ।

পটুয়াখালীতে দিন দিন বাড়ছে বিনাচাষে আলুর আবাদ। এতে করে কম খরচে কৃষকরা বেশি ফলন পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীর চর এলাকাজুড়ে প্রায় ১২০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা তরমুজ বিক্রি করতে শুরু করেছেন। ভালো দামও পাচ্ছেন।

ফরিদপুরের সদরপুরে ব্যাপকভাবে চাষ হয় লালমি জাতের বাঙ্গি। এ বছর রোজার শুরুতে বাজারে উঠাতে না পারায় আর্থিক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষিরা। কয়েকটি জেলায় অল্প পরিসরে এ বাঙ্গি চাষ হলেও কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এটি ফরিদপুর জেলার ফসল। এ বাঙ্গির চাষ এ জেলায়ই বেশি হয়। ছবি: এন কে বি নয়ন

লালমনিরহাটে প্রথমবারের মতো ৭০ শতক জমিতে সুপার ফুড কিনোয়া চাষ করে সফল আমেরিকা প্রবাসী চাষি রেজাউল করিম রাজু। নতুন ফসলটি চাষের মধ্য দিয়ে উত্তরের জেলায় কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন।

লাভজনক শস্য ডাল। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়া যায়। তাই চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ জমিতে বিভিন্ন রকম ডাল চাষ করছেন কৃষকরা। ভালো লাভ হওয়ায় দিন দিন ডাল চাষের পরিধি বাড়ছে।

ক্যাপসিকাম ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমণ না হওয়ায় তেমন পরিশ্রমও করতে হয় না। কম খরচে অধিক লাভজনক ক্যাপসিকাম চাষ। আর তাই এ ফসল চাষে ঝুঁকছেন ভোলার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে কৃষকরা। 

সব রোগের মহৌষধ নামে পরিচিত ‘কালোজিরা’। এটি মসলা হওয়ার পাশাপাশি বহু গুণে গুণান্বিত। দিন দিন এর ব্যবহার বাড়ায় বাজারে চাহিদাও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই শরীয়তপুর জেলায় রবি ফসল হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছি ফসলটি।

বলসুন্দরী, ভারতসুন্দরী এবং টক বরই চাষ করে সফল হয়েছেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের শংকরদী এলাকার দুই বন্ধু সফিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান। অদম্য ইচ্ছা ও মনোবল নিয়ে বাগান শুরু করে আজ তারা স্বাবলম্বী। দুই বন্ধুর এ সফলতায় অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে পতিত জমিতে বাণিজ্যিকভাবে তরমুজ চাষ করেছেন কৃষকেরা। সড়ক ব্যবস্থার উন্নতি ও বাজারজাতকরণে সুবিধা থাকায় এখানকার সুস্বাদু ও মিষ্টি তরমুজ চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলার ভোক্তার কাছে। 

সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত কিনোয়া চাষ করে সফল কৃষক দিলীপ নাথ। চট্টগ্রামের মিরসরাইয় উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিনঘরিয়াটোলা এলাকায় প্রায় ২৪ শতক জমিতে কিনোয়া চাষ করেছেন তিনি। তার এ কাজে সহযোগিতা করেছে  উপজেলা কৃষি অফিস। 

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেগুন চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। দিনদিন চাষের পরিধি বাড়াচ্ছে তারা। এখানকার উৎপাদিত বেগুন এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

যতদূর চোখ যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এ যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে হলুদের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য শোভা পাচ্ছে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার মাঠে। ছবি: আহমেদ জামিল

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে কোন ধরনের ক্যামিকেল ছাড়াই বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছেন মো. মুসলিম উদ্দিন নামের এক কৃষক। 

সারাবছর পানি জমে থাকায় বসতবাড়ি ও সড়কের পাশের নিচু জমিতে তেমন কোনো ফসল হয় না। এসব পানি জমে থাকা জমিগুলোই কাজে লাগিয়েছেন জয়পুরহাটের কয়েকটি গ্রামের কৃষক। নিজ উদ্যোগে তারা এসব জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষ করেছেন।

তার নাম চন্নু দফাদার। পেশায় কৃষক। অভাবের সংসার তার। এর মাঝেই স্বচ্ছলতা এনেছে লতিরাজ কচু। মাত্র ৭ হাজার টাকা নিয়ে লতিরাজ কচু চাষে প্রতি বছর প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা বিক্রি হয়।